ড্রপবক্স আমার অন্যতম পছন্দের ফাইল শেয়ারিং টুল। এইটা কি করে আসলে?
ধরা যাক আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আছে, যেগুলা আমার ব্যাকআপ করা দরকার। তা সেগুলা আমি নিজের কাছে মেইল করতে পারি, ভালো বুদ্ধি – কিন্তু সেগুলা খুঁজে পাওয়া বা পরিবর্তন করলে বার বার আপলোড করা বিরক্তিকর। ড্রপবক্স অনলাইনে বেশ খানিকটা যায়গা দেয় (শুরুতে ২ জিবি, ফ্রিতে বাড়ানো সম্ভব ১৬জিবি পর্যন্ত), আর একটা ডেস্কটপ ক্লায়েন্ট দেয়। ক্লায়েন্ট কে হার্ডডিস্কের একটা ফোল্ডার দেখায়ে দিলে সে ঐ ফোল্ডারের ভিতরে যত হাতি ঘোড়া আছে, সব অনলাইনে সেভ করে ফেলবে। আবার যদি সেই ফোল্ডারে পরে কিছু পরিবর্তন করা হয়, সে নতুনটা রেখে দিবে, পুরাই নিজে নিজে। মজা না?
তা এটার মূল সুবিধাগুলা কি কি?
১) ড্রপবক্স ক্রস প্ল্যাটফর্ম। উইন্ডোজ, লিনাক্স, এন্ড্রয়েড, ম্যাক – সবখানেই চলে।
২) ফাইল পরিবর্তন করার পর সার্ভারে রাখার সময় সে শুধুমাত্র পরিবর্তিত অংশগুলা পাঠায়, তাই আপলোড করতে অনেক কম সময় লাগে!
৩) অফলাইনেও কাজ করা যায়। মানে যে ফাইলগুলা সিংক (synchronisation) করা হচ্ছে, সেগুলা অফলাইনে পিসিতে থাকে।
৪) বন্ধু বা অন্যদের সাথে ড্রপবক্সে ফোল্ডার শেয়ার করা হলে সেটা ওদের ড্রপবক্সের সাথে সংযুক্ত হয়। যদি আমি সেই শেয়ারড ফেল্ডারে কিছু পরিবর্তন করে সেটা আমার পিসি থেকে সেইভ করি, সেটা যতজনের সাথে শেয়ার্ড আছে, তারা সবাই পরিবর্তিত ফাইল বা ফোল্ডারগুলা পেয়ে যাবে তাদের পিসিতে!
৫) ফোল্ডার বা ফাইল আবার লিংক দিয়েও শেয়ার করা যায় অন্য যে কারো সাথে।
৬) ১ মাসের সব পরিবর্তন সেভ করা থাকে, তাই ভুল করে কিছু পরিবর্তন করা হলে সেটা আবার রিভার্ট করা যায়।
৭) ফাইল শেয়ারিংয়ের যায়গা ২ জিবি দিয়ে শুরু হলেও যাকে ইনভাইটেশন পাঠানো হয় ড্রপবক্সে সাইন আপ করার, সে সাইন আপ করে ক্লায়েন্ট ইন্সটল করলে যায়গা বাড়ে ৫০০ মেগাবাইটের মতো। যে সাইনআপ করেছে সে নিজেও পায় বাড়তি ৫০০ মেগাবাইট। আর এভাবে যায়গা বাড়তে বাড়তে ১৬ জিবি করে ফেলা সম্ভব, পুরাটাই ফ্রিতে!!
যেমন আমার এই লিংক দিয়ে সাইনআপ করলে আপনি এবং আমি – দুইজনই ৫০০ মেগাবাইট করে ফ্রি পাবো
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন