মোবাইল ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য চলে যাচ্ছে অন্যের হাতে। কীভাবে দূর থেকেই মোবাইল ফোনের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে? নিরাপত্তা সফটওয়্যার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি জানিয়েছে, মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধাযুক্ত স্মার্টফোন বিশ্বজুড়েই সাইবার হামলার লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে এবং মোবাইল গ্রাহকের তথ্য বিশেষ করে স্মার্টফোনে ব্যবহৃত ব্যাক্তিগত তথ্য ছবি নাম-পাসওয়ার্ড হ্যাক হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগে মানুষ প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটের উপর ভরসা করছে। যার ফলে সকলেই ফেসবুক, টুইটার, ভাইবার, ইমু, স্কাইপি সহ হাজার হাজার মোবাইল অ্যাপ্লিক্যাশন ব্যবহার করছে। যা ব্যবহারকারীর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে একদম হাতে মুঠোয় এনে দিয়েছে। কিন্তু এই সকল মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করায়, সামান্য ভূলের জন্য ব্যবহার কারীর গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। যা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন জার্মানীর একদল গবেষক।
আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন স্মার্টফোনে যেকোন এনরোয়েড এপস ইনস্টল করার সময় এপস কোম্পানি আপনাকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য যেমন ফোনবুক, ম্যাসেজ, কল রেকর্ড, ভয়েস রেকর্ড, ক্যামেরা সহ ভিন্ন ভিন্ন ব্যাক্তিগত এপ্লিকেশানে একসেস চায়। প্রয়োজনের তাগিদে এসব ব্যাক্তিগত ইনফরমেশানে আমরাই তাদের একসেস দিয়ে রাখছি। মুলত এভাবেই আপনার ব্যাক্তিগত সব তথ্য চলে যাচ্ছে ডেভলপার কোম্পানীর হাতে ।
এছাড়াও প্রযুক্তি বিষয়ক একদল গবেষক জানান, এসব সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সকল তথ্য অনলাইনে থেকে যায়। যা হ্যাকার দ্বারা বা সফটওয়্যার কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রতিনিয়তই ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।
জার্মানীর ঐ গবেষকগণ আরো জানান, অনলাইনে প্রায় ৫৬ মিলিয়নেরও বেশি নিরাপত্তাহীন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। যার মধ্যে ম্যাসেঞ্জার, গেমস, মেডিকেল অ্যাপস, ব্যাংক অ্যাপস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসকল অ্যাপস অসাবধানতাবশত ব্যবহারের ফলে যেসকল গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে তা হল:
১.গোপন ইউজার নেম (যা দিয়ে ইউজার লগইন করে)
২.লগইন পাসওয়ার্ড
৩.গোপন ইমেইল
৪.পার্সোনাল তথ্য
৫.এড্রেস
৬.ডোর কোড
৭.লোকেশন ডাটা
৮.মোবাইল আইপি
৯.ব্যাংক একাউন্ট
১০.ক্রেডিট কার্ড নাম্বার ইত্যাদি।
ঐ গবেষক দলের ভাষ্য মতে, এরকম ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতে নিচের নিয়ম অনুসরণ করা উচিৎঃ
১.অনলাইন থেকে ফ্রি সফটওয়্যার ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকা।
২.ফেসবুক, স্কাইপি, ভাইবার সহ এজাতীয় চ্যাটিং সফটওয়্যারে চ্যাট করার পর চ্যাট হিস্টোরি ডিলেট করে ফেলা।
৩.যেকোনো সফটওয়্যার শুধু মাত্র অফিসিয়াল সাইট থেকে ডাউনলোড করা।
৪.অনলাইনে পার্সোনাল তথ্য না দেয়া।
৫.যেকোনো ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার পর সাথে সাথে ব্রাউজিং হিস্টোরি ডিলেট করে ফেলা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন