জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বেসামরিক প্রশাসনে চাকরিরত অবস্থায় কোন সরকারি কর্মচারী মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারের সদস্যদেরকে ৮,০০,০০০/- টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়
মাসিক
কল্যাণভাতা: কোন সরকারি কর্মচারী
মৃত্যুবরণ অথবা অক্ষম হলে
তার পরিবারকে অনধিক ১৫ বছর পর্যন্ত
২,০০০/- টাকা হারে কল্যাণ
ভাতা প্রদান করা হয় এবং
কর্মকর্তা/ কর্মচারী অবসর গ্রহণের ১০
বছরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করলে মৃত্যুর তারিখের
পরের দিন হতে ১০
বছর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত কল্যাণভাতা
পাবেন।
যৌথবীমার
এককালীন অনুদান: চাকরিরত অবস্থায় কর্মকর্তা/কর্মচারী মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারকে
উক্ত কর্মচারীর শেষ প্রাপ্ত মাসিক
মূল বেতনের ২৪ মাসের সমপরিমাণ
অর্থ বা অনূর্ধ ২
লাখ টাকা যৌথবীমার এককালীন
অনুদান প্রদান করা হয়।
দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুদান: চাকরিরত অবস্থা কর্মকর্তা/ কর্মচারী মৃত্যুবরণ করলে পরিবারকে ৩০,০০০/- টাকা দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
অনুদান প্রদান করা হয়।
চাকরিকাল
পেনশনযোগ্য না হলে: একজন সরকারি কর্মচারীর
চাকরিকাল ৫ বছর পূর্ণ
হওয়ার পূর্বে যদি মৃত্যুবরণ করেন
তবে তার পরিবারকে তার
শেষ আহরিত ৩টি মূল বেতনের
সমপরিমাণ হারে এককালীন বিশেষ
আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
বিস্তারিত বিবরণ
সরকারী
কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী মারা গেলে বেশ
কিছু সুবিধা প্রাপ্য হন তার পরিবার।
এর মধ্যে কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড এর কল্যাণ তহবিল
থেকে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে
১৫ বছর পর্যন্ত প্রতিমাসে
২ হাজার টাকা ভাতা হিসেবে
৩ লক্ষ ৬০ হাজার
টাকা দেওয়া হয়। তবে এর
জন্য মৃত্যুর ৬ মাসের মধ্যে
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আবেদন করতে হবে। যথাযথ
কারন ব্যাখ্যাসহ ১ বছরের মধ্যে
আবেদন না করলে দাবী
তামাদি হয়ে যাবে।
এছাড়া
এককালীন ২ লক্ষ টাকা
অনুদান পাবেন। কর্মচারী মৃত্যুতে এ দাবী অনুদান
হিসেবে প্রদান করা হয়। এটি
যৌথ বীমার দাবী হিসেবে বাংলাদেশ
কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড পরিশোধ করে থাকে। দাফন-কাফন ও অন্তেষ্ট্রিক্রিয়ার
জন্যও বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড ৩০ হাজার টাকা
প্রদান করে, এটি পূর্বে
১০ হাজার টাকা ছিল। সরকারি
কর্মচারী মৃত্যুবরণ করলে পরিবার পাবে
৮ লক্ষ ৩০ হাজার
টাকা।
কোন
মৃত কর্মচারী বা অবসরে যাওয়া
কর্মচারীর সন্তানদি যদি পড়াশোনা অবস্থায়
থাকে তবে বছরে একবার
শিক্ষ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে
পারবেন। ৬ষ্ঠ থেকে স্নাতক
পর্যন্ত এ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
করা হয়। এত এক
সন্তানের জন্য প্রায় ৪
হাজার টাকা এবং দুই
সন্তানের জন্য ৬ হাজার
টাকা পর্যন্ত বার্ষিক এককালীন অনুদান বা শিক্ষা বৃত্তির
ব্যবস্থা রয়েছে। কর্মরত অবস্থায় মারা গেলেই কেবল
৮ লক্ষ টাকা প্রাপ্তির
সুবিধা কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড হতে পাওয়া যায়।
অবসরে গিয়ে মারা গেলে
আংশিক সুবিধা পাওয়া যাবে।
যে সকল দাবী সরকারের
কাছে করা যাবে তার
মধ্যে রয়েছে, পারিবারিক পেনশ ও গ্রাচুয়িটি
(এটি মূল বেতনের ভিত্তিতে
নির্ধারিত হবে), জিপিএফ ( যদি জমা থাকে
তবে মুনাফাসহ সমুদয় অর্থ সরকার চুড়ান্ত
পরিশোধ করবে), লামগ্রান্ট (যদি অর্জিত ছটি
থাকে তবে মূল বেতনের
১৮গুন বেতন এককালীন পাইবে),
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এককালীন মঞ্জুরী
৮ লক্ষ টাকা, বাংলাদেশ
কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে যৌথবীমার এককালীন
২ লক্ষ টাকা, দাফন-কাফন/অন্তষ্ঠ্রিক্রিয়া বাবদ
এককালীন ৩০ হাজার টাকা।
কল্যাণ তহবিল থেকে মৃত্যৃপরিবারকে ১৫বছর
পর্যন্ত মাসে ২ হাজার
টাকা ভাতা সর্বমোট ৩
লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ
সরকারি কল্যাণ বোর্ডেও সুধিাগুলো শুধুমাত্র পিওর সরকারি বা
রাজস্বখাত ভূক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোই পেয়ে থাকে। তবে
যে সকল স্বশাসিত, রাষ্ট্রয়াত্ত্ব
এবং আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি নীতিমালা মেনে পেনশন ব্যবস্থা
চালু করেছে এবং বাংলাদেশ কর্মচারী
কল্যাণ বোর্ডের সদস্য তারাও এ সুবিধার আওতাভূক্ত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন