রুম ডেইট করতে এসেছি প্রেমিকার সাথে। রুম ডেইটের ঘনিস্ট মুহূর্ত শেষ করে ওয়াশরুমে যেতেই দেখি প্রেমিকার স্বামীর লাশ। লাশ দেখে আমি আঁতকে উঠলাম। ওয়াশরুমের একটি কোনায় আমি পরে রয়েছি আর আরেকটি কোনায় লাশটি পরে রয়েছে। কাঁপা কাঁপা শরীর নিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখি প্রেমিকা আমাকে দেখে হাসছে। সুইটি হাসতে হাসতে বলে উঠলো-
Although the habitat of thousands of like -minded people to talk to each of us his very abhabamane balaye prisoner .There is nothing to lament the loneliness. হাজার লোকের মাঝে আবাস হলেও মনের কথা বলার মত লোকের খুব অভাব।মনে হয় আমরা প্রত্যেকে যেন নিজ বলায়ে বন্দী। যেখানে একাকিত্বের হাহাকার ছাড়া আর কিছুই নেই।
শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
.
-কি ভয় পেয়েছো মুয়ীদ?
.
-তোমার হাজব্যান্ডকে কে মেরেছে?
.
.
-তুমি!
.
-তাহলে...?
.
-আমি যাই...
.
-কই যাবে?
.
-শহর ছেড়ে চলে যাবো... দেখো আমি কিছুই দেখিনি...
.
-শুনো... লাশটা গায়েব করার জন্য তুমি আমাকে হেল্প করবে মুয়ীদ...
.
-পারবো না?
.
আমি আমার শার্ট খুঁজছি। শার্ট বিছানা থেকে নিয়ে পরে নিলাম। মোবাইল এবং মানিব্যাগ বালিশের পাশ থেকে নিয়ে পকেটে ভরলাম। সুইটি হেসে আমাকে বললো-
.
-মুয়ীদ... তুমি কি জেলে যেতে চাও?
.
-মানে?
.
-হা হা হা... শুনো তুমি যদি লাশটা গায়েব করতে হেল্প না করো আর আমি যদি পুলিশের কাছে ধরা খাই... আমি বলবো তোমার সাথে ঘনিষ্ট মুহূর্ত কাটানোর সময় স্বামী দেখে ফেলে... তুমি আর আমি তাকে মেরে ফেলি...
.
-এসব মিথ্যা কথা সুইটি!
.
-শুনো... ফিজিক্যাল রিলেশন হয়েছে... সেটি টেস্টে ধরা পরবে... আর বাকিটা প্রমাণ করতে কি পারবে?... ধরে নিলাম ২-৩ বছর লাগলো... জেলে রইলে... সামাজিক মর্যাদা কই যাবে তোমার?
.
-দেখো... আমার সাথে এমন করো না... আমিতো আজকে প্রথম এসেছি তোমার বাসায়... আমি ইনোসেন্ট...
.
-বাহ! পরকীয়া করার জন্য আসতে পারো আর তুমি ইনোসেন্ট...? হা হা হা...
.
-দেখো এমন করো না আমার সাথে... কেন এমন করছো?
.
-আমার স্বামী খুব জ্বালাতো আমাকে... সে বহু নারীতে আসক্ত ছিল... আমাকে মারতো। তাই প্ল্যানটা করি... ওর দেহ তো আমি একা গায়েব করতে পারবো না, তাই না?
.
সুইটির স্বামীর লাশ একটি লাগেজে ভরে তার সাথে গাড়িতে উঠলাম। সুইটি ড্রাইভ করছে আর এই সময় কল দিয়েছে স্ত্রী। তার কল আমি ধরছি না। সুইটি কলটি ধরে লাউডে দিতে বললো। আমি রিসিভ করেই বললাম-
.
-হ্যালো পায়েল...
.
-তুমি কই জানু?
.
-আমি তো অফিস থেকে গাজীপুরের ফ্যাক্টরিতে যাচ্ছি....
.
-দেখে যেও হ্যা... আর শুনো জানু টাইমলি লাঞ্চ করে নিও...
.
-সিওর জানু...
.
কলটি কাটার পর থেকেই সুইটি হাসছে। সে এক নাগাড়ে হেসেই চলেছে। সুইটি বললো-
.
-তোমার বউয়ের মতো স্বামীকে অন্ধ বিশ্বাস করতাম আমি! আচ্ছা তোমরা ভাদ্র মাসের কুকুর টাইপের ছেলেগুলা বউদের সামনে ফেরেশতা কীভাবে সাজো?
.
-দেখো সুইটি আমার কি হয়েছিল জানি না... আমি কেন তোমার সাথে প্রেম করলাম আর আজ তোমার বাসায় গেলাম বুঝতে পারছি না!
.
-ওরে আমার নবজাতক শিশু... কিছুই জানে না সে! শুধু জানে বিছানা কীভাবে কাঁপাতে হয়... বউয়ের ছবি দেখি...
.
আমি মোবাইলের গ্যালারিতে গিয়ে পায়েলের ছবি বের করে মোবাইলটি সুইটিকে দিলাম। সুইটি ছবি দেখে বললো-
.
-ঘরে এত সুন্দরী বউ থাকতে তদের মন ভরে না? তোর মোবাইল নে...
.
-সুইটি... এখন কী করবে...?
.
-পুলিশ যতদিন না ধরে তোমার সাথে থাকবো... যতক্ষণ গাড়িতে তেল আছে গাড়িতে ঘুরবো।
.
-মানে?
.
-তোমার কি মনে হয় আমার স্বামী গায়েব হয়ে যাবে... তার পরিবারের মানু্ষ কি বুঝবে না? তার অফিসের মানুষ কি বুঝবে না? তুমি আর আমি কি ধরা খাবো না!
.
-তুমি ধরা খেলে খাও... আমার কোনো আপত্তি নাই... আই ডোন্ট কেয়ার! আমাকে কেন ফাঁসাচ্ছো? আমার সুন্দর একটা ম্যারিড লাইফ আছে... বউ আছে...
.
-তাহলে আমার ডাকে সাড়া দিলে কেন? বউয়ের দেহে মন ভরে না?
.
-শয়তান ভর করেছিল মাথায়!
.
-শয়তান তোমরা! শয়তানও তোমার কথা শুনে লজ্জা পাচ্ছে! চলো মাওয়া ফেরি ঘাটে চলো... তোমাকে নিয়ে ইলিশ খাবো...
.
সুইটি গাড়িটি মাওয়া ফেরি ঘাটে নিয়ে যাচ্ছে। আর আমি মনে মনে নিজেকে গালি দিচ্ছি। আমি একদম ফেঁসে গেলাম।
.
মাওয়াতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে ৫টা বেজে গেল। শীতকাল তারাতারি সন্ধ্যা হয়। সূর্য ডুবে যাচ্ছে। সুইটি মনের সুখে ইলিশ খাচ্ছে আর আমি হতাশ মনে বসে আছি।দেড় ঘণ্টা সেখানে কাটানোর পর সুইটি আমাকে নিয়ে গাড়িটি স্টার্ট দিলো। আমি তার পাশে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছি। এদিকে সুইটির শ্বাশুরি তাকে কল করলো। তার ছেলে কেন ফোন ধরছে না। সুইটি বলে দিলো যে, তার ছেলেকে মেরে লেইকের পানিতে ফেলে দিয়েছে। আমি হতবাক! মেয়েটা কি করলো এটা।সুইটির সাথে গাড়িতে আমার ধস্তাধস্তি বেজে গেল। গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা খেল।
.
৩০ মিনিট পর...
.
চোখ খুলে দেখি আমার মাথা দিয়ে ব্লিডিং হচ্ছে। পাশে সুইটি নেই। গাড়ির সামনে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। সুইটি মেয়েটা কই? আমি মাথা ধরে গাড়ি থেকে বের হয়ে দেখি মেয়েটি রাস্তার ধারে বসে আছে। মেয়েটিও অনেক আঘাত পেয়েছে। আমি তার কাছে গিয়ে বললাম-
.
-তুমি কি পাগল?
.
-শ্বাশুরি তো এমনিও জানতো... ওমনিও জানতো... তাই আগেই জানিয়ে দিলাম...
.
-এখন তো পুলিশ ধরবে... মাঝখান থেকে কিছু না করে আমিও ফেঁসে গেলাম...
.
-মুয়ীদ... যাও তোমার কথা বলবো না...
.
-তোমার বাসায় আমার ফুট প্রিন্ট আছে... তার মধ্যে ঐ দেহ একা তুমি সড়াতে পারবে না... জিজ্ঞাসাবাদে আমার নাম আসবেই... আচ্ছা এইটা কোন জায়গা?...
.
-কি জানি...
.
-একটা গাড়ি ঘোরাও নেই... আমাদের তো হাসপাতালে যেতে হবে...
.
-কোন গাড়ি দেখলে তুমি লিফট নিয়ে চলে যাও মুয়ীদ....
.
-সুইটি তুমি আমাকে কেন ফাঁসালে?
.
-তুমি নিজে ফেঁসেছো... চরিত্র দোষে...
.
-আমার বউটা না আমাকে অনেক ভালোবাসে... খুব সহজ সরল মেয়ে... তাকে আমি প্রতারণা করলাম... তার অভিশাপ লেগেছে... সুইটি তুমি তো মনে হয় ৩ বছরের বড় আমার তাই না?
.
-হুম...
.
-এসব শুনে মেয়েটা আরো কষ্ট পাবে... যে তাকে রেখে ৩ বছরের বড় মেয়েকে....
.
-তোমাকে কেন বেছে নিয়েছি জানো মুয়ীদ...?
.
-কেন?
.
-আমার স্বামী তো বহু নারীতে আসক্ত ছিলই... কিন্তু বেশি সময় কাটাতো তোমার স্ত্রীর সাথেই!
.
-ফাউল কথা বলবা না....
.
সুইটি তার মোবাইলের গ্যালারি বের করে আমার সামনে বের করলো। আমার চোখ দিয়ে পানি পরছে। আমি সুইটিকে বললাম-
.
-শুরুতেই জানাতে...
.
-হা হা হা... সারাদিন ভরে একটা অপরাধ বোধে ছিলে... সেটি চলে গেল তাই না?
.
-একদম....
.
-কি করবে মুয়ীদ এখন?
.
-বসে থাকি... কুয়াশা... রাস্তার ধার...
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
Govt Job Death Facilities 2024 । চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বেসামরিক প্রশাসনে চাকরিরত অবস্থায় কোন সরকারি কর্মচারী মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারের সদস্যদেরকে ৮ , ০০...

-
কখনো কারো দীর্ঘশ্বাসের কারণ হবেন না। মানুষের দীর্ঘশ্বাস খুব খারাপ জিনিস। আপনি কাউকে ঠকিয়েছেন? কাঁদিয়ে,শ্বাসিয়ে হৃদপিণ্ডে আগুন লাগিয়ে চলে গেছ...
-
যদি কখনো কোনো তরুণীর প্রতি তীব্র আকর্ষণ বোধ করো, তখন অবশ্যই তুমি সেই আকর্ষণের স্বরূপ অনুসন্ধান করিবে। দেখিবে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু তুচ্ছ ...
-
বায়ুপ্রবাহের ক্ষয় কাজের কারণে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, গৌর হোল তার মধ্যে এক অন্যতম স্থাপনা,গৌরটি আলজেরিয়া সাহারার। বায়ুর গতিপথে কোনও...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন