সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৭

প্রশ্ন ?

কিছু প্রশ্ন আর উত্তর বদলে দিতে পারে আপনার জীবন এবং পাল্টে দিবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ...জীবনকে নতুন করে উপলব্ধি করতে পারবেন ...
কিছু অর্থবহ প্রশ্ন আর নির্ভেজাল উত্তর- এ দু'য়ে মিলে আপনার জীবনে ভিন্ন কিছু এনে দিতে পারে। আসতে পারে নতুন উপলব্ধি। প্রয়োজনীয় একটিমাত্র প্রশ্নই অনেক অজানা-অর্থবহ কিছু বের করে আনতে পারে।
ফোর্বস এমনই বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে আপনাদের প্রতি। খাঁটি সত্য থেকে নিজেই উত্তরগুলো ছেঁকে তুলুন। নিজেকে হয়তো আবার নতুন করে চিনতে পারবেন আপনি। পরিশুদ্ধ হয়ে শুরু হতে পারে অন্যরকম আনকোরা এক জীবন।
১. নিজের সম্পর্কে কোন কোন বিষয়গুলি আপনি জানতে চান না বা এড়িয়ে যান?
- এ প্রশ্নের উত্তরই সম্ভবত আপনার জন্যে সবচেয়ে কঠিন ও বাস্তব সত্যগুলো উঠিয়ে আনতে পারে। সত্যিকার অর্থে আপনার স্বভার-চরিত্র-চাওয়া-পাওয়া কী এবং কেমন তার উত্তর যদি নিজেই বের করে আনতে পারেন, তাহলে আপনি অন্তত নিজের সাথে প্রতারণা করার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন।
২. যা আপনার করা উচিৎ বলে মনে করেন, তা এড়িয়ে যান কেন?
- শুধু কাজের তালিকা করে বসে থাকবেন না। বরং যা করতে হবেই তা করে ফেলুন।
৩. জীবনের কোন বিষয়গুলো আপনার কাছে মূল্যবান এবং এগুলোর প্রতি আপনি কি সৎ?
- আপনার পরিবার, বন্ধু-স্বজন, কর্মক্ষেত্র, ধর্মসহ সকল ক্ষেত্রে যে ব্যাপারগুলো আপনার কাছে সবচে' বেশি মূল্য বহন করে সেগুলো সম্পর্কে পরিষ্কার হোন। এই বিষয়গুলোতে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করলে অশান্তি জন্ম নেয়।
৪. আশপাশের মানুষেরা আপনার সম্পর্কে কী-কী ধারণা রাখেন যা আপনি জানেন না?
- মনে রাখবেন, মানুষ আপনার সম্পর্কে যা ধারণা করে তাই আপনার জন্যে বাস্তবতা। ভাল বা খারাপ যাই হোক না কেনো, আপনাকে নিয়ে মানুষের চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে জানুন।
৫. আপনি কী-কী জানেন না, তা কি আপনি জানেন?
- অজানা ব্যাপারগুলো জানতে চাইলে আপনি নিজের অজ্ঞতা সম্পর্কে সজাগ হয়ে উঠবেন। এ জন্য প্রয়োজনে কাছের মানুষের সাহায্য নিন। আপনি কোনো বিষয়ে কী জানেন না বা বোঝেন না, তা কাছের মানুষেরাই ভাল বলতে পারবেন।
৬. কোনো কিছু যেভাবে পাওয়া আপনার জন্যে সুখকর হয়, সেভাবেই তা আসে কি?
- মানুষের ইগো তার আবেগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নাও হতে পারে। আপনার আবেগের সাথে বিরোধপূর্ণ হয় এমন কিছু না চাইলে, আপনি যেমনভাবে চান, তেমনটিই সব সময় পাবেন।
৭. জীবনের সব চাওয়াগুলো পাওয়া হয়ে গেলে আপনার অনুভূতি কেমন হবে?
- যেকোনো কাজে বা লক্ষ্যে সফল হলে পরিতৃপ্তির বিষয়টি কিছুটা সময়ক্ষেপণ করে আসাটাই ভাল। এতে সাফল্যের শতভাগ স্বাদ পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা সাধারণত মুহূর্তের পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে আবেগতাড়িত হয়ে পড়ি। ফলে পরের কাজে এ আবেগ উল্টো প্রভাব ফেলতে পারে। কতখানি সফল হলে কতটুকু তৃপ্ত হওয়া উচিৎ, সে সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনার অতৃপ্তি থাকবে না।
৮. আজ আমি কী শিখেছি? কী পছন্দ করেছি? আমাকে কী আনন্দ দিয়েছে?
- প্রতিটি দিনের শেষে এই তিনটি জিজ্ঞাসার জবাব খুঁজুন। যদি দিনটিতে নতুন কিছু শিখে থাকেন, পছন্দের মানুষ বা নতুন কিছু যদি পেয়ে যান এবং কোনো কারণে যদি আপনি প্রাণ খুলে হাসতে পারেন, তবে নিঃন্দেহে দিনটি আপনার স্মরণীয় হতে পারে।৯. আপনি যদি ভয় না পেতেন, তবে কী করতেন?- ধরে নিন আপনি এক শ বছর বাঁচবেন। এবার অতীতে হারিয়ে যান। এতদিন যেভাবে জীবন চলেছে তা ধারাবাহিক চলতে থাকলে জীবনের বাকি সময়ের চিত্র কেমন হতে পারে- তা ভেবে বের করুন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন, ভবিষ্যত যেমনটি চান তেমনটি পেতে হলে এখন কী কী করতে হবে।
১০. আপনি একসময় এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন, এ নিয়ে কি আপনি ভীত?
- মানুষ মরণশীল বলে জীবনের কোনো কিছুকে মূল্যহীন ভাবার কারণ নেই। এটা ভাবুন, এই যে বেঁচে আছি তা কতো আনন্দময়।
১১. আজ এবং আগামীকাল- এ দুটোকে কী আপনার গুরুত্ব দিতে হবে?
- বর্তমানকে ধারণ করুন। তবে ভবিষ্যতের কথা ভুলে যাবেন না। খুব চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কোন সময়টা উপভোগ করতে হবে বনাম ভবিষ্যত ফসলের জন্যে কোন সময়টাতে বীজ লাগাতে হবে- জীবন হচ্ছে এ দু'য়ের সমন্বয়।
১২. কেনো নয় এবং কি হতে পারে?
- কোনো বিষয়কে একেবারে গতানুগতিকভাবে দেখার কিছু নেই। বরং আপনার প্রশ্নটি হবে, কেনো এ কাজটা করা যাবে না? এ প্রশ্নগুলোর সমন্বয়ে নেতিবাচক উত্তর থেকেও সম্ভাবনা বেরিয়ে আসবে।
১৩. আজ কারো জন্যে বা অন্যভাবে ভাল কিছু করেছেন কি?
- এ প্রশ্নের উত্তর অপরের কাছে আপনার মূল্যায়ন তুলে ধরবে। নিজেকে যেভাবে মূলায়ন করেন, আপনার কাজের জন্যে তার থেকেও বেশি কিছু পেতে পারেন।
১৪. আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে নিজের জীবনকে কীভাবে দেখতে চান?
- লুইস ক্যারোল বলেছিলেন, 'যদি না জানা থাকে কোথায় যেতে হবে, তবে সেখানে কখনই যেতে পারবে না'। আগামী পাঁচ বছরের টার্গেট ঠিক করে ফেলুন। এগুলো যেমন অদূর ভবিষ্যতে অর্জন করতে হবে, তেমনি আবার যথেষ্ট সময়ও রয়েছে আপনার হাতে।
১৫. আজকের দিনটিকে শুভ করতে কী করতে পারেন?
- সঙ্গতিপূর্ণ কাজের ধারাবাহিকতাই সাফল্যের শ্রেষ্ঠ রহস্য।
১৬. আপনার 'কেনো' প্রশ্নটি কী প্রসঙ্গে করছেন?
- যেকোনো বিষয়ে যদি শুধু কেনো কেনো করেন, তাহলে 'কি' এবং 'কিভাবে' নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হবে। করার 'উপায়' না থাকলে আপনার কাজিটি 'কি' এবং 'কিভাবে' দিয়েই বাধাগ্রস্ত হবে।
১৭. আজ বা এ সপ্তাহে বা এ মাসের কোন কাজটি আপনার সবচেয়ে জরুরি?
- এ কাজটি খুঁজে বের করুন। সব কাজের ফাঁকে এ কাজটিকে বেশি গুরুত্ব দিন।
১৮. যেকোনো কাজের ফলাফল কী, এজন্য কী কী করতে হবে, এর সফলতা কী?
- এ প্রশ্নগুলোর উত্তর বের করুন। সফলতা, সম্ভাবনা এবং মূল্য বেরিয়ে আসবে।
১৯. আমরা কী নিয়ে কথা বলছি বা কী সমস্যা সমাধান করতে হবে?
- মূল সমস্যাটি বের হয়ে আসলে সমাধানের পথগুলোর সহজে দেখা মিলবে। ফলে অযথা অপ্রয়োজনীয় বিষয় আলোচনায় এসে সময় অপচয় করবে না।
২০. আপনি কাজটি কি এখনই করতে পারবেন?
- যদি গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ এখন করা সম্ভব হয়, তাহলে এখুনিই করে ফেলুন।
২১. নির্দিষ্ট কিছু একটা ঘটাতে কী দরকার?
- এ প্রশ্নের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনে দায়িত্বশীলতা চলে আসে। প্রয়োজনীয় উৎসগুলো কাজে লাগাতে দায়-দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া যায়।
২২. যদি আমরা কাজটি যাদু দিয়ে করতে পারতাম তাহলে বিষয়টি কেমন হতো?
- এর উত্তরে সীমাবদ্ধতাগুলো চিহ্নিত হয়। পাশাপাশি নতুন উপায় বেরিয়ে আসে।
২৩. আপনার আদর্শ চরিত্রগুলো কিভাবে জীবন ধারণ করেন?
- যাকে আদর্শ বলে মনে করেন, তার গুণাবলী কাজে প্রয়োগ করার চেষ্টা করুন। একেবারে থেমে থাকার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
২৪. আমরা কখন দেখা করতে পারি?
- যে কাজেই হোক, কারো সাথে দেখা করার বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন না। কখন কার কাছ থেকে কী বেরিয়ে আসবে, তা আপনি সংশ্লিষ্ট মানুষটির সাথে না দেখা করলে বুঝতে পারবেন না।
২৫. আমাকে একটা পরামর্শ দেবেন?
- এ প্রশ্নটি আপনার প্রতি কারো নেতিবাচক মনোভাবকে দুর্বল করে দেবে। পরামর্শ চাইলে যে কেউ আপনার প্রতি ইতিবাচক হয়ে উঠবেন।
২৬. এক বছর একসাথে কাজ করার পর আমি আপনার সম্পর্কে কী ধারণা করতে পারি?
- এ প্রশ্নটি গেট সেটিসফ্যাকসনের ওয়েনডি লিয়া করেছিলেন এক চাকরিপ্রার্থীকে। খুব কার্যকর একটি প্রশ্ন হতে পারে। এ প্রশ্নের দ্বারা নিজের সর্বোচ্চ গুণটির পরিচয় পেতে পারেন।
২৭. কী কী কারণে কোনো একটি বিষয় আপনার আগ্রহ কাড়বে?
- পণ্যের প্রসারে প্রশ্নটি ব্যাপক কাজে লাগে। তা ছাড়া মানুষের চাহিদা বা পছন্দ-অপছন্দের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর উপায় পাবেন এ প্রশ্নে।
২৮. আর কিছু?
- দু' শব্দের এ প্রশ্নের উত্তর বিশাল কিছুর খোঁজ দিতে পারে। একেবারে সূক্ষ্ম বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে যদি এ প্রশ্নের উত্তরে কিছু বের করে আনতে পারেন।

জরুরি কিছু

১। যথা সম্ভব পাতিলে ঢাকানা দিয়ে রান্না করুন, এতে খাবারের পুষ্টিমান ঠিক থাকে।
২। মাংস রান্নার শুরুতেই লবণ না দিয়ে রান্নার মাঝামাঝি সময়ে লবণ দিয়ে ভালভাবে নাড়ুন। এরপর দেখে নিন পরিমান ঠিক হল কিনা।
৩। তরকারির ঝোল ঘন করতে চাইলে কিছু কর্ণ ফ্লাওয়ার পানিতে গুলে ঢেলে দিন। লক্ষ্য রাখুন যেন কর্ণ ফ্লাওয়ারের মিশ্রণটি ভালমত তরকারির সাথে মিশে যায়।
৪। চাল ধোয়ার পর ১০ মিনিট রেখে দিয়ে তারপর রান্না করুন অথবা রান্নার সময় ১ চা চামচ রান্নার তেল দিয়ে দিন। দেখবেন ভাত সুন্দর ঝরঝরে হয়েছে।
৫। মুরগীর ফ্যাট এড়াতে চাইলে চামড়া ছাড়িয়ে মুরগি রান্না করুন। কারন মুরগির চামড়াতেই প্রধান ফ্যাট থাকে।
৬। সবুজ সবজি রান্নার সময় সবুজ রং ঠিক রাখতে চাইলে এক চিমটি চিনি দিন।
৭। রান্না করার জন্য একদিন আগেই মাংস সেদ্ধ এবং ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
৮। রান্নার সময় গরম পানি ব্যবহার করুন।
৯। ফ্রিজের মধ্যে আঁশটে গন্ধ দূর করতে ফ্রিজে এক টুকরো কাঠ কয়লা রেখে দিন।
১০। মাংস তাড়াতাড়ি সেদ্ধ করতে চাইলে খোসাসহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে তরকারীতে দিন।
১১। মাছ, মাংস বা ডিমের ঝোলে লবণ বেশি হয়ে গেলে তরকারিতে কয়েকটি সিদ্ধ আলু ভেঙে দিন। স্বাদ ঠিক হয়ে যাবে।
১২। মুরগির মাংস বা কলিজা রান্নাইয় ১ টেবিল চামচ সিরকা দিন। এতে মাংসের গন্ধ থাকবে না আবার তাড়াতাড়ি সিদ্ধও হবে।
১৩। মাছ ভাজার সময় তেল ছিটা রোধ করতে একটু লবণ ছড়িয়ে দিন।
১৪। বেরেস্তা করার সময় পেঁয়াজ ভেজে নামানোর আগে সামান্য পানি ছিটিয়ে দিন এতে পেঁয়াজ তাড়াতাড়ি লালচে হবে।
১৫। কাঁচা মাছ বা মাংস ছুরি-চপিং বোর্ডে কাটতে চাইলে বেশ কিছুক্ষণ আগে থেকেই পানিতে ভিজিয়ে নরমাল করে নিন।
১৬। আলু ও ডিম একসঙ্গে সিদ্ধ করুন, আলাদা কাজে ব্যবহার করলেও তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হবে।
১৭। স্যুপ রান্নার সময় পাতলা হয়ে গেলে দুটি সিদ্ধ আলু ম্যাশ করে স্যুপে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন।
১৮। ডাল তাড়াতাড়ি রান্না করতে আগের রাতেই ভিজিয়ে রাখুন।
১৯। সহজে মসলাপাতি খুঁজে পেতে কৌটার গায়ে নাম লিখে রাখুন।
২০। আগামী দিন কী রান্না করবেন তার প্রস্তুতি রাতেই নিনতাহলে সময় বেঁচে যাবে।
২১। রান্না করার সময় অবশ্যই মাছ ও সবজির কম্বিনেশনের ব্যাপারে নজর রাখবেন ।
২২। মাছ রান্না করে কাঁচা ধনিয়া পাতা থাকলে তা কুচি করে কেটে বিছিয়ে দিন, স্বাদ অনেকগুণ গুন বেড়ে যাবে।
২৩। ডালে বাগার দিতে রসুন কুচি তেলে ভেজে ডালে দিয়ে দিন।
২৪। মাংশ জাতীয় রান্না করে শেষে বেরেস্তা (পেঁয়াজ কুচি ভাজি) ছড়িয়ে দিন এতে স্বাদ বেড়ে যাবে।
২৫। ডিম সিদ্ব করতে পানিতে সামান্য লবন দিয়ে নিন এতে ডিম খেতে সুস্বাদু হবে। আর ঠান্ডা করে ডিম ছিলুন তাহলে খোসায় লেগে ডিম নষ্ট হবে না।
২৬। চুলায় হাড়ি পাতিলে ঢাকনা থাকলে তা খালি হাতে ধরবেন না।
২৭। ভর্তা বানাতে মরিচ খালি হাতে ঢলবেন না এতে হাতে জ্বলুনি হবে।
২৮। মাছ ভাঁজতে কড়াই হতে নিদিষ্ট দূরে থাকুন। মাছে পানি থাকলে কিংবা ফুটে আপনার গায়ে বা চোখে তৈল পড়তে পারে।
২৯। শুকনা মরিচ ভাজার সময় মরিচ পোড়ার ঝাঁঝে হাঁচি-কাশি রোধে রান্নাঘরের দরজা জানালা ভাল করে খুলে দিন।
৩০। ভাজিতে তেল বেশী পড়ে গেলে ভাজিগুলো কড়াই বা প্যানের এক দিকে সরিয়ে কড়াই কাত করে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তেল ভাজি থেকে ঝরে গেলে সংরক্ষন করে অন্য রান্নায় ব্যবহার করতে পারবেন। মাংসের তরকারীতে যদি তেল বেশী হয়ে পরে তবে উপর থেকে চামচ দিয়ে তেল উঠিয়ে ভাজিতে ব্যবহার করলে ভালোই সুস্বাদু লাগে।
৩১। এলাচ সম্পুর্ণ গুড়ো করে ব্যবহার করা ভাল এতে এলাচ কামড়ে পড়ে খাওয়ার মজা নষ্ট হবে না। আবার রান্নাতেও সুগন্ধ হবে।
৩২। সবজীর রং ঠিক রাখতে পাতিল ঢেকে রান্না না করাই ভাল। আর কিছু সবজিকে সামান্য সিদ্ব করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে কিংবা বরফ কুঁচিতে রাখলে রান্নার পরও রং ঠিক থাকে।
৩৩। কিছু ভাজিতে কড়াইতে তেল গরম হলে যা দেবেন তার সাথে সামান্য লবণ দিয়ে দিন, তেলের ছিটকা উঠবে না।
৩৪। ডালের মজা বৃদ্ধির জন্য বেশি সময় ধরে রান্না করুন, স্বাদ বেড়ে যাবে ।
৩৫। তেলাপিয়া মাছের গন্ধ দূর করতে তেলাপিয়া মাছ হলুদ ও ভিনিগার/লেবুর রস মাখিয়ে মিনিট ১৫ রেখে রান্না করুন।
৩৬। লাল সর্ষে্র ঝাঁঝ বেশী হয়। হলুদ সর্ষে ব্যাবহার করলে তিতা হয়না। সর্ষে বাটার সময় লবন আর কাচামরিচ এক সাথে বাটলে তিতা হয়না।
৩৭। বর্ষাকালে লবণ গলে যায় তাই এক মুঠো পরিষ্কার চাল পুটলি করে বেঁধে লবণের পাত্রে রেখে দিন।
৩৮। কাঁচের গ্লাসে গরম কিছু নিতে গেলে অনেক সময় ফেটে যায় তাই গরম কিছু ঢালবার আগে গ্লাসে একটি ধাতু নির্মিত চামচ রেখে ঢাললে গ্লাস ফাটবে না।
৩৯। আলু এবং আদা বালির মধ্যে ডুবিয়ে রাখলে অনেক দিন পর্যন্ত টাটকা থাকে।
৪০। যে কোনো খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখলে ঢাকনা দিয়ে রাখা ভালো, ফলে এক খাবারের গন্ধ আরেক খাবারে যায় না এবং রেফ্রিজারেটও গন্ধ হয় না।
৪১। শিশি বা কৌটোর মধ্যে বিস্কুট রাখার আগে সামান্য চিনি বা মোটা কাগজের ঠুকরো রেখে দিলে বিস্কুট অনেকদিন মচমচে থাকে।
৪২। আঙ্গুর, টমেটো প্রভৃতি ফল ফুটন্ত পানিতে দু’মিনিট রেখে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানিতে রেখে সহজেই খোসা ছড়ানো যায়।
৪৩। চাল ও ডালের কৌটায় কয়েকটি শুকনো নিমপাতা বা শুকনো মরিচ রাখলে সহজে পোকা ধরবে না।
৪৪। কাঁচকলা ও লেবু প্রতিদিন অন্ততঃ এক ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে বেশিদিন টাটকা থাকে।
৪৫। কাঁচামরিচের বোঁটা ফেলে পানি শুকিয়ে কাপড়ের বা কাগজের প্যাকেটে সংরক্ষণ করলে বেশি দিন ভালো থাকে।
৪৬। চিকেন ফ্রাই, চিকেন রোল—এসব খাবার অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে রাখলে সহজে নষ্ট হয় না।
৪৭। সিরকা ও সোডিয়াম বেনজোয়েট দিলে আচার দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
৪৮। আচার বয়াম থেকে নেওয়ার সময় পরিষ্কার চামচ ব্যবহার করলে আচারে ফাঙ্গাস পড়ে না।
৪৯। চিনির পাত্রের মধ্যে দু-চারটি লবঙ্গ দিয়ে রাখলে পিঁপড়ে ঢুকবে না।
৫০। খাবার পুড়ে পাত্রের তলায় আটকে থাকলে পাত্রটিকে নুনপানিতে ভর্তি করে পানি ফুটালে পোড়া অংশ দ্রুত আলাগা হয়ে উঠে যায়।

“ডেল কার্নেগীর স্মরণীয় ২৫টি উক্তি”

.
(১) যার কথার চেয়ে কাজের পরিমাণ বেশি, সাফল্য তার কাছেই এসে ধরা দেয়, কারণ যে নদী যত গভীর তার বয়ে যাওয়ার শব্দ ততো কম।
.
(২) মনে রাখবেন, আপনি কে বা আপনার কি আছে তার উপর আপনার সুখ নির্ভর করে না, আপনার সুখ নির্ভর করে আপনি কেমন চিন্তা করেন তার উপর।
.
(৩) যা আপনাকে পীড়া দেয়, এমন বিষয় নিয়ে এক মিনিটের বেশি ভাববেন না।
.
(৪) মানুষের গুণ নিয়ে প্রতিযোগিতা করুন দোষ নিয়ে নয়।
.
(৫) মনে রাখবেন আজকের দিনটি গতকাল আপনার কাছে আগামীকাল ছিল। যেটার কথা ভেবে গতকাল আপনি চিন্তিত ছিলেন আজ নয়।
.
(৬) আপনি ভাল মানুষ হলেই পুরো জগৎবাসী আপনার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করবে এমনটা আশা করা ঠিক নয়। আপনি নিরামিষভোজী হলে কি কোন ষাঁড় আপনাকে তাড়া করবে না?"
.
(৭) অস্পষ্টতায় ভরা দূরের কিছুর চেয়ে কাছের স্পষ্ট কিছু দেখাই আমাদের দরকার।
.
(৮) কি কাজ করতে চলেছেন সে সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকার অর্থ আপনি অন্ধকারের যাত্রী কোনো অন্ধের মত।
.
(৯) মন্দ সহচর্যের চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক ভালো।
.
(১০) মানুষ যখন রাগান্বিত অবস্থায়, তখন তাকে কোনভাবে বিরক্ত করা উচিত নয়। কেননা তা থেকে চরম ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হতে পারে।
.
(১১) পৃথিবীতে ভালবাসার একটি মাত্র উপায় আছে, সেটা হলো প্রতিদান পাওয়ার আশা না করে শুধু ভালবেসে যাওয়া।
.
(১২) মনে রাখবেন অন্যায় সমালোচনা অনেক ক্ষেত্রেই আড়াল করা প্রশংসা। মরা কুকুরকে কেউ লাথি মারে না।
.
(১৩) দুশ্চিন্তা দূর করার এক নম্বর উপায় হলো ব্যস্ত থাকা।
.
(১৪) আমি চাইতাম বিখ্যাত ব্যক্তিদের মতো সফল হতে; এর জন্য আমি অনেক পরিশ্রমও করেছি কিন্তু আমি কোনোভাবেই সফল হইনি, অবশেষে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম- অন্যের মতো নয়- বরং আমি হবো আমার মতো।
.
(১৫) অনুকরণ নয়, অনুসরণ নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে জানুন, নিজের পথে চলুন।
.
(১৬) আমরা যখন আমাদের কর্তব্য - কর্মে অবহেলা দেখাই, কোন দায়িত্বকে নিষ্ঠার সঙ্গে গ্রহণ করি না, তখনই অকৃতকার্যতা আসে।
.
(১৭) ভদ্র আচরণ করতে শিক্ষা লাগে, অভদ্র আচরণ করতে অজ্ঞতাই যথেষ্ট।
.
(১৮) সাফল্য হলো আপনি যা চান তা হাসিল করা। আনন্দ হলো আপনি যা চান তা পাওয়া।
.
(১৯) দাম্পত্য জীবনে সুখি হতে চাও? তাহলে পরস্পরকে অবিশ্বাস করবে না আর ঘ্যানর ঘ্যানর করবে না।
.
(২০) একটি সুন্দর মুখের কুৎসিত কথার চেয়ে একটি কুৎসিত মুখের মধুর কথা অধিকতর শ্রেয়।
.
(২১) যে স্ত্রীরা স্বামীকে সুখী করতে পারেন, তারা নিজেরাও তারই সঙ্গে সুখী হন। তারা অতি সহজেই বলতে পারেন যে স্বামীর সহযোগিতায় আমাদের জীবন কানায় কানায় পূর্ণ।
.
(২২) মনে রাখা প্রয়োজন যে, একজন হতাশাগ্রস্থ মানুষের চেয়ে একজন সুখী মানুষ হাজার গুন বেশি কর্মক্ষম।
.
(২৩) যে অবস্থায়ই পড়ুন না কেন- অবস্থার ভালো মন্দ না দেখে বিচার করা উচিত নয়।
.
(২৪) সব সময়-ই অপর ব্যক্তিকে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব উপলব্ধি করার সুযোগ দিন।
.
(২৫) যিনি নিজের মন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন তিনিই সফলতা লাভ করেছেন।

অামার ছেলের আকিকার গরু





বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৭

মরিচের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা


১. গরম কালে কাঁচা মরিচ খেলে ঘামের মাধ্যমে শরীর
ঠান্ডা থাকে।
২. প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট
বাধার ঝুঁকি কমে যায়।
৩. নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা
কমে যায়।
৪. কাঁচা মরিচ মেটাবলিসম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে
সহায়তা করে।
৫. কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা
ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেম কে
কর্মক্ষম রাখে।
৬. নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়ে।
৭. কাঁচা মরিচ রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।
৮. কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন এ যা হাড়, দাঁত ও
মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে ।
৯. কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা
মাড়ি ও চুলের সুরক্ষা করে।
১০. নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যা
কমে ।প্রতিদিন খাবার তালিকায় অন্তত একটি করে
কাঁচা মরিচ রাখলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না।
১১. কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন সি । তাই যে কোনো
ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য কাঁচা
মরিচ খুবই উপকারী।
১২. কাঁচা মরিচের অ্যান্টিঅক্সিডে
ন্ট ও ভিটামিন সি
শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি থেকে রক্ষা করে।

আসুন কিছু জেনে নিই :


1. SIM এর পূর্ণরূপ — Subscriber Identity Module
2. 3G এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation.
3. Wi-Fi র পূর্ণরূপ — Wireless Fidelity
4. MP3 এর পূর্ণরূপ — MPEG player lll
5. MP4 এর পূর্ণরূপ — MPEG-4 video file
6. CD এর পূর্ণরূপ — Compact Disk
7. DVD এর পূর্ণরূপ — Digital Versatile Disk
8. USB এর পূর্ণরূপ — Universal Serial Bus
9. 3GP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation Project
10. CRT এর পূর্ণরূপ — Cathode Ray Tube
11. AVI এর পূর্ণরূপ — Audio Video Interleave
12. HTML এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Markup Language
13. HTTP এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer Protocol.
14. GPRS এর পূর্ণরূপ — General Packet Radio Service.
15. CDMA এর পূর্ণরূপ — Code Divison Multiple Access.
16. JPEG এর পূর্ণরূপ — Joint Photographic Expert Group
17. GSM এর পূর্ণরূপ — Global System for Mobile Communication.
18. VIRUS এর পূর্ণরূপ — Vital Information Resource Under Seized.
19. AM/FM এর পূর্ণরূপ — Amplitude/
Frequency Modulation.
20. PDF এর পূর্ণরূপ — Portable Document Format

জীবনের গল্প-১

"একটা ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাওয়ার পর আমরা যে ভুলটা সবচেয়ে বেশি করি সেটা হলো, উঠে দাঁড়াতে অনেক বেশি সময় নিই ... আর ঐ সময়টাতেই জীবনের অনেক সুযোগ হারিয়ে ফেলি, যেটার জন্য পরে আফসোস করতে হয় !!
অবাক হয়ে মানুষের গল্প শুনি ... সত্যিকারের গল্প ... কোন এক প্রতারকের জন্য কষ্ট পেয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়ে এক মাস হাসপাতালে ছিল সে, ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারে নি ... এখন প্রতারকের জন্য আর কষ্ট হয় না তার, কষ্ট হয় নিজের বোকামির জন্য !!
আমার জীবনে যে ধরণের প্রশ্ন আমি সবচেয়ে বেশি শুনেছিঃ
"আমাকে ছেড়ে সে চলে গেছে ... আমি কষ্টে পড়তে পারতেছি না ... আমার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে ... আমি রাতে ঘুমাতে পারছি না ... আমার মরে যেতে ইচ্ছা করতেছে ... আমি এখন কি করবো ??"
যতই বুঝাই শক্ত হওয়ার জন্য ... কাজ হয় না ... এই মানুষগুলো জীবনের একটা অনেক বড় সময় নষ্ট করে ফেলে ধাক্কাটা সামাল দিতে ... তারপর যখন সে উঠে দাঁড়ায়, যখন সে টের পায় যে সে শক্ত হয়ে গেছে, তখন সে আফসোস করে তার নষ্ট হয়ে যাওয়া সময়ের জন্য !!
ধাক্কা খেয়ে উঠে দাঁড়ানো সহজ না ... আমি নিজেও জানি ... আমি যখন আমার জীবনের একটা বড় রকমের ধাক্কা খাই, তখন আমার টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল ... এক বন্ধুকে বললাম, আমি পড়তে পারছি না, সম্ভবত ফেল করবো ... বন্ধু আমাকে একটা কথা বলছিলো, যেই কথাটা আমার চিন্তা ভাবনা বদলে দিয়েছিল ...
"তুমি একটা ব্যাপারে কষ্ট পাইলা ... এখন ঐ কষ্টের প্রতিক্রিয়াতে তুমি যদি আরেকটা জায়গায় কষ্টের কারণ তৈরি করো ... তাহলে দেখা যাবে, প্রথমবারের কষ্টটা তোমাকে কিছুদিন ভুগিয়ে চলে যাবে একদিন ... কিন্তু দ্বিতীয় কষ্টটা তোমাকে আরো অনেক দিন ভুগাবে ... এভাবে কষ্টের একটা চক্রে তুমি আটকা পড়ে যাবা ... কি ভয়ংকর ব্যাপার !!"
কেউ তোমাকে রেখে চলে গেলো ... তুমি ঐ মানুষের জন্য কষ্ট পেয়ে পড়াশুনা করলা না ... এরপর পরীক্ষায় ফেল করলা ... তারপর যখন ঐ মানুষের কষ্ট তুমি ভুলে যাবা, পরীক্ষায় ফেলের কষ্ট তোমাকে আজীবন ভুগাবে ... একটা কষ্টের ইফেক্টে আরো কষ্ট তৈরি করো না ... প্লিজ !!
জীবনে ধাক্কা খেলে সেটার কষ্ট রাতারাতি ভুলা যায় না ... কিন্তু সেই কষ্টটাকে জিদে পরিণত করা যায় ... কষ্ট পেয়ে সেটাকে চোখের জলে রূপান্তর না করে জিদে রূপান্তর করো ... দাঁতে দাঁত চেপে দিনের মধ্যে একশোবার নিজেকে বলোঃ
"একদিন আমি এত বেশি পরিমাণে সাকসেসফুল হবো, এত ভালো জায়গায় পৌছাবো, ক্যারিয়ারে এত বেশি শাইন করবো যে আমাকে কষ্ট দেয়া মানুষটা উল্টো আফসোস করবে, অপমানে লজ্জায় মাটিতে মিশে যাবে"
কেউ তোমাকে যখন তোমার সাথে প্রতারণা করে, তোমাকে কষ্ট দেয়, আঘাত করে - তাকে একটা উচিত জবাব দিতে ইচ্ছা করে না ??
জিদ করে একবার শুধু শাইন করো জীবনে ... তোমাকে মুখ ফুটে কিছু বলতে হবে না, তাকে কোন মেসেজ পাঠাতে হবে না, কোন ফোন কল করতে হবে না ... কিচ্ছু না !!
Your success will be your noise ... Then that noise will reach that person ... that noise will haunt that person ... That will be your perfect revenge and perfect answer !!
কেউ একজন স্বার্থপরের মত চলে গেছে ... তুমিও এবার একটু স্বার্থপর হও ... নিজের জন্য, নিজেকে অনেক উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিশ্রম করো ... পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না !!
ভুল মানুষকে তো অনেক ভালোবাসলে, এবার একটু নিজেকে ভালোবাসো ... ধাক্কা খেয়ে পড়ে না থেকে উঠে দাঁড়াও ... আজেবাজে মানুষের পেছনে না ছুটে নিজের স্বপ্নের পিছনে ছুটতে থাকো ... কথা দিচ্ছি, ভালো থাকবা ... একদিন অনেক বেশি ভালো থাকবা !!"

ছেলে শিশুদের কিছু সুন্দর নাম

নাম আরবী অর্থ
উসামা ﺃﺳﺎﻣﺔ সিংহ
হামদান প্রশংসাকারী
লাবীব ﻟﺒﻴﺐ বুদ্ধিমান
রাযীন ﺭﺯﻳﻦ গাম্ভীর্যশীল
রাইয়্যান ﺭﻳَّﺎﻥ জান্নাতের দরজা বিশেষ
মামদুহ ﻣَﻤْﺪُﻭْﺡ প্রশংসিত
নাবহান ﻧَﺒْﻬَﺎﻥ খ্যাতিমান
নাবীল ﻧَﺒِﻴْﻞ শ্রেষ্ঠ
নাদীম ﻧَﺪِﻳْﻢ অন্তরঙ্গ বন্ধু
ইমাদ ﻋِﻤَﺎﺩ সুদৃঢ়স্তম্ভ
মাকহুল ﻣﻜﺤﻮﻝ সুরমাচোখ
মাইমূন ﻣَﻴْﻤُﻮْﻥ সৌভাগ্যবান
তামীম ﺗَﻤِﻴْﻢ দৈহিক ও চারিত্রিকভাবে পরিপূর্ণ
হুসাম ﺣُﺴَﺎﻡ ধারালো তরবারি
হাম্মাদ ﺣَﻤَّﺎﺩٌ অধিক প্রশংসাকারী
হামদান ﺣَﻤْﺪَﺍﻥُ প্রশংসাকারী
সাফওয়ান ﺻَﻔْﻮَﺍﻥُ স্বচ্ছ শিলা
গানেম ﻏَﺎﻧِﻢٌ গাজী, বিজয়ী
খাত্তাব ﺧَﻄَّﺎﺏٌ সুবক্তা
সাবেত ﺛَﺎﺑِﺖٌ অবিচল
জারীর ﺟَﺮِﻳْﺮٌ রশি
খালাফ ﺧَﻠَﻒٌ বংশধর
জুনাদা ﺟُﻨَﺎﺩَﺓُ সাহায্যকারী
ইয়াদ ﺇِﻳَﺎﺩٌ শক্তিমান
ইয়াস ﺇِﻳَﺎﺱٌ দান
যুবাইর ﺯُﺑَﻴْﺮٌ বুদ্ধিমান
শাকের ﺷَﺎﻛِﺮٌ কৃতজ্ঞ
আব্দুল মুজিব ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟْﻤُﺠِﻴْﺐِ উত্তরদাতার বান্দা
আব্দুল মুমিন ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻦِ নিরাপত্তাদাতার বান্দা
কুদামা ﻗُﺪَﺍﻣَﺔُ অগ্রণী
সুহাইব ﺻُﻬَﻴْﺐٌ যার চুল কিছুটা লালচে
ইদ্রীস Idris শিক্ষায় ব্যস্ত ব্যক্তি
আরিফ Arif অধিক উজ্জ্বল
আজহার Azhar অতিউজ্জ্বল
ইকবাল Iqbal উন্নতি
আকরাম Akram অতিদানশীল
আলতাফ Altaf দয়ালু
আমানাত Amanat গচ্ছিত ধন
ফয়েজ Foyez সার্থক, সফলকাম
ফারিজ Farij নায়ক
ফাহিম Fahim বুদ্ধিমান
ফাহিম Fahim বিচারক
ফজর Fojor আরম্ভ, শুরু
ফরহাদ Firhad জ্ঞানী
ফরিদ Forid অতুলনীয়, অসাধারণ
ফরমান Forman আদেশকারী
শাকিব Sakil উজ্জ্বল, দ্বীপ্ত
শাকিল Sakil সুপুরুষ
শফিক Safiq দয়ালু
ইয়াসীর Easir ধনী
জারিফ Jarif বুদ্ধিমান
আবরার Abrar ন্যায়বান
আহসান Ahsan উৎকৃষ্টতম
আহনাফ Ahnaf ধার্মিক
বাসিত Basit স্বচ্ছলতা দানকারী
গিয়াস Gias সাহায্য
ফয়সাল Foysal বিচারক
বোরহান Borhan প্রমাণ
গালিব Galib বিজয়ী
হালিম Halim ভদ্র
জালাল Jalal মহিমা
নিয়ায Neaz প্রার্থনা
নাফিস Nafis উত্তম
নাঈম Nayem স্বাচ্ছন্দ্য
রফিক Rofiq বন্ধু
এনায়েত Anaet অনুগ্রহ
এরফান Erfan প্রজ্ঞা
ওয়াকার Wakar সম্মান
ওয়ালীদ Walid শিশু
কাদের Kader সক্ষম
মুঈনুল ইসলাম Mainul Islam ইসলামের সাহায্যকারী
আলী হাসান Ali Hasan উচ্চ সুন্দর
মাজহারুল ইসলাম Mazharul Islam ইসলামের নিদর্শন
মাহমুদুল হাসান Mahmudul Hasan প্রশংসিত সুন্দর
সাইফুল ইসলাম Saiful Islam ইসলামের তরবারী
মিসবাহ উদ্দীন Misbah Uddin দ্বীনের বাতি
মুমিনুল হক Muminul Huq প্রকৃত সত্যবদী
শফিক Sofiq দয়ালু
সাকীব Sakib উজ্জল
তাসলীম Taslim অভিবাদন
তারিক Tariq নক্ষত্রের নাম
তানভীর Tanvir আলোকিত
জাহীদ Zahid সন্ন্যাসী
আজমাল Azmal অতি সুন্দর
আদম Adom মাটির সৃষ্টি
উসামা Usama বাঘ
আলতাফ Altaf দয়ালু
আমান Aman নিরাপদ
আমির Amir নেতা
আনিস Anis আনন্দিত
মাহমুদ Mahmud প্রশংসিত
হোসাইন Hossain অতি সুন্দর
রহমান Rahman রহমত
শামীম Samim সুগন্ধি, সৌরভ
ইমরান Imran আবাদি জায়গা
সৈয়দ Soiad নেতা, সর্দার
আশিকুল ইসলাম Aashikul Islam ইসলামের বন্ধু
আবাদ Abad অনন্ত কাল
আব্বাস Abbas সিংহ
আবদুল্লাহ Abdallah আল্লাহর দাস
আবদুল আলি Abdul Ali মহানের গোলাম
আবদুল আলিম Abdul Alim মহাজ্ঞানীর গোলাম
আবদুল আযীম Abdul Azim মহাশ্রেষ্ঠের গোলাম
আবদুল আযীয Abdul Aziz মহাশ্রেষ্ঠের গোলাম
আবদুল বারী Abdul Bari সৃষ্টিকর্তার গোলাম
আবদুল বাছেত Abdul Baset বিস্তৃতকারীর গোলাম
আবদুল দাইয়ান Abdul Daiyan সুবিচারের দাস
আবদুল ফাত্তাহ Abdul Fattah বিজয়কারীর গোলাম
আবদুল গাফফার Abdul Gaffar মহাক্ষমাশীলের গোলাম
আবদুল গফুর Abdul Gafur ক্ষমাশীলের গোলাম
আবদুল হাদী Abdul Hadi পথপ্রর্দশকের গোলাম
আবদুল হাফিজ Abdul Hafiz হিফাজতকারীর গোলাম
আবদুল হাকীম Abdul Hakim মহাবিচারকের গোলাম
আবদুল হালিম Abdul Halim মহা ধৈর্যশীলের গোলাম
আবদুল হামি Abdul Hami রক্ষাকারী সেবক
আবদুল হামিদ Abdul Hamid মহা প্রশংসাভাজনের গোলাম
আবদুল হক Abdul Haque মহাসত্যের গোলাম
আবদুল হাসিব Abdul Hasib হিসাব গ্রহনকারীর গোলাম
আবদুল জাব্বার Abdul Jabbar মহাশক্তিশালীর গোলাম
আবদুল জলিল Abdul Jalil মহাপ্রতাপশালীর গোলাম
আবদুল কাহহার Abdul kahhar পরাত্রুমশীলের গোলাম
আবদুল কারীম Abdul Karim দানকর্তার গোলাম
আবদুল খালেক Abdul khaliq সৃষ্টিকর্তার গোলাম
আবদুল লতিফ Abdul Latif মেহেরবানের গোলাম
আবদুল মাজিদ Abdul Majid বুযুর্গের গোলাম
আবদুল মুবীন Abdul Mubin প্রকাশের দাস
আবদুল মোহাইমেন Abdul Muhaimen মহাপ্রহরীর গোলাম
Abdul Muhit আবদুল মুহীত বেষ্টনকারী গোলাম
আবদুল মুয়িয Abdul Muiz সম্মানদাতার গোলাম
আবদুল মুজিব Abdul Mujib কবুলকারীর গোলাম
আবদুল মুতী Abdul Mutee মহাদাতার গোলাম
আবদুল নাসের Abdul Naser সাহায্যকারীর গোলাম
আবদুল কাদির Abdul Qadir ক্ষমতাবানের গোলাম
Abdul Qahhar আবদুল কাহহার মহা প্রতাপশালীর গোলাম
আবদুল কুদ্দুছ Abdul Quddus মহাপাক পবিত্রের গোলাম
আবদুল শাকুর Abdul Sakur প্রতিদানকারীর গোলাম
আবদুল ওয়াদুদ Abdul Wadud প্রেমময়ের গোলাম
আবদুল ওয়াহাব Abdul Wahab মহাদানশীলের গোলাম
আবদুল ওয়াহেদ Abdul Wahid এককের গোলাম
আবদুল ওয়ারিছ Abdul Waris মালিকের দাস
আবদুল ওয়াহহাব Abdul Wuhhab দাতার দাস
আবদুর রাফি Abdur Rafi মহিয়ানের গোলাম
আবদুর রাহিম Abdur Rahim দয়ালুর গোলাম
আবদুর রহমান Abdur Rahman করুনাময়ের গোলাম
আবদুর রশিদ Abdur Rasid সরল সত্যপথে পরিচালকের গোলাম
আদুর রউফ Abdur Rauf মহাস্নেহশীলের গোলাম
আবদুর রাজ্জাক Abdur Razzak রিযিকদাতার গোলাম
আবদুস সবুর Abdus Sabur মহাধৈর্যশীলের গোলাম
আবদুস সালাম Abdus Salam শান্তিকর্তার গোলাম
আবদুস সামাদ Abdus Samad অভাবহীনের গোলাম
আবদুস সামী Abdus Sami সর্ব শ্রোতার গোলাম
আবদুস ছাত্তার Abdus Sattar মহাগোপনকারীর গোলাম
আবদুজ জাহির Abduz Zahir দৃশ্যমানের গোলাম
আবেদ Abed উপাসক
আবীদ Abid গোলাম
আদিব আখতাব Abid Akhtab ভাষাবিদ বক্তা
আবির Abir রঙ
আবরার Abrar ন্যায়বান, গুণাবলী
আবরার আজমল Abrar Ajmal ন্যায়বান নিখুঁত
আবরার আখলাক Abrar Akhlaq ন্যায়বান চরিত্র
আবরার আখইয়ার Abrar Akhyar ন্যায়বান মানুষ
আবরার আমজাদ Abrar Amjad ন্যায়বান সম্মানিত
আবরার আওসাফ Abrar Awsaf ন্যায় গুনাবলী
আবরার ফাহাদ Abrar Fahad ন্যায়বান সিংহ
আবরার ফাহিম Abrar Fahim ন্যায়বান বুদ্ধিমান
আবরার ফয়সাল Abrar Faisal ন্যায় বিচারক
আবরার ফাইয়াজ Abrar Faiyaj ন্যায়বান দাতা
আবরার ফসীহ Abrar Fasih ন্যায়বান বিশুদ্ধভাষী
তাযিন Tajen সুন্দর
আফিফ Alif পবিত্র
আমিম Admim ব্যাপক / পরিচিত
আন্দালিব Andalib বুলবুল
আলওয়ান Alwan উন্নত
ইমাদ Imad খুঁটি
আওয়াদ Awoad ভাগ্য
শাদমান Sadman হাসিখুশী
রায়হান Raihan জান্নাতের ফুল
আজওয়াদ Azwad অতিউত্তম
আহরার Airar স্বাধীন
ইমতিয়াজ Emtiaz পরিচিতি
সাকীফ Sakif সুসভ্য
জওয়াদ Jawad দানশীল/ দাতা
খফীফ Kafif হালকা
দাইয়ান Daian বিচারক
যাকী Jaki মেধাবি
রাহাত Rahat সুখ
রাফাত Rafat অনুগ্রহ
সামিহ Samih ক্ষমাকারী
সালিক Salik সাধক
সাবাহ Sabah সকাল
সফওয়াত Sofwat খাঁটি/ মহান
তাউস Taus ময়ুর
ফুয়াদ Fuad অন্তর
ফাইয়ায Fahiaz অনুগ্রহকারি
কাসসাম kassam বন্টনকারী
কাওকাব Kawab নক্ষত্র
মুরতাহ Murtaha সুখী/ আরাম আয়েশী
আখতার Akhter তারকা
উসামা Usama বাঘ
ওয়াদুদ Wadud বন্ধু
ইয়াসীর Easir ধনী
জিয়াউদ্দীন Ziauddin দ্বীনের আলো
সাইফুদ্দীন Saifuddin দ্বীনের সূর্য
জামাল Jamal সুন্দর
হামিদ Hamid প্রসংশাকারী
খালেদ Khaled চিরস্হায়ী
শাহেদ Sahed সাক্ষীদাতা
মামুন Mamun নিরাপদ
শামীম Samim চরিত্রবান
ওয়াহাব Wahab সম্পদ
ইয়াসীর Easir ধনী
আরশাদ Arshad সৎপথের অনুসারী
আযহার Ahzab সুস্পষ্ট
এনামুল Enamul পুরষ্কার
আয়মান Ayman অত্যন্ত শুভ
আনাস Anas অনুরাগ
মাহতাব Mahtab চাঁদ
মুস্তাফিজুর Mustafiz উপকৃত
সাইফুল saiful তরবারি
ফয়সাল Faysal বিচারক
জামাল Jamal সুন্দর
ইয়াসীর Yasir ধনী
নাফিস Nafis উত্তম
নাঈম Nayem স্বাচ্ছন্দ্য
রফিক Rafiq বন্ধু
এনায়েত Emaet অনুগ্রহ
এরফান Arfan প্রজ্ঞা, মেধা
ওয়ালীদ Walid শিশু
তাফাজ্জল Tofazzal দয়াদ্রতা, বদান্যতা
তাকি Taki আল্লাহ ভীরু, সংযমী,
তামজিদ Tamzeed প্রশংসা,
তানজিল Tanjel অবতীর্ণ করা
নিয়ায Niyz প্রার্থনা
নাফিস Nafis উত্তম
নাঈম Nayem স্বাচ্ছন্দ্য
আবরার Abrar ন্যায়বান
আহসান Ahsan উৎকৃষ্টতম
আহনাফ Ahnaf ধার্মিক
বাসিত Basit স্বচ্ছলতা দানকারী
গিয়াস Gias সাহায্য
জিয়া Zia আলো
জামীল Jamil সুন্দর
জহির Zohir বিজয়ী, সাহাজ্যকারী
যায়েদ Jayed অধিক
তামিম Tamim ব্যাপক করা
তোফায়েল Tofael হস্তক্ষেপ
কাসিম Kashem বণ্টনকারী
আমিন Amin বিশ্বস্ত
মুমিন Momin বিশ্বাসী
তাহের Taher পবিত্র
আলিম Alim জ্ঞানী
রাহীম Rahim দয়ালু
সালাহ Salah সৎ
সাদিক Sadik সত্যবান
শাকীল Sakil সুপুরুষ
শফিক Sofiq দয়ালু
সালাম Salam নিরাপত্তা

মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৭

কিছু ধারণা বিনিময়



001.    কিয়ামত এর পূর্বে হযরত জিবরাঈল (আঃ) দুনিয়া থেকে যে ১০ টি জিনিস তুলে নিবেন
হযরত জিবরাঈল (:) ২৪ হাজার বার দুনিয়াতে হুজুর (সা:) এর দরবারে এসেছিলেন এক সাক্ষাতে হুজুর (সা:) জিবরাঈল (:) কে জিঙ্গাসা করেছিলেন, হে জিবরাঈল! আমার ইন্তেকালের পরে তুমি কতবার দুনিয়াতে আসবে? তিনি বললেন, ১০ বার আসব এব প্রতিবারই একটি করে জিনিস তুুলে নেবদশটি জিনিস হল —:—:—
. বরকত তুলে নেব,
. এবাদত থেকে মজা তুলে নেব,
. পরস্পর মহব্বত তুলে নেব,
. লজ্জা তুলে নেব,
. হক বিচার তুলে নেব,
. ছবর (ধৈর্য্য) তুলে নেব,
. আলেম থেকে সত্য কথা তুলে নেব অর্থাৎ একদল আলেম জানা সত্ত্বেও হক কথা বলবে না,
. ধনীদের সৎ সাহস উঠিয়ে নেব,
. ঈমানদার থাকবে না / ঈমান উঠে যাবে,
১০. ক্বারীদের কাছ থেকে কোরআনের তেলোয়াত তুলে নেব অর্থাৎ কোরআনকে উঠিয়ে নেব।
আফসোস আমাদের সমাজে সর্বশেষ ১০ নাম্বারটি বাকী রয়েছে, যেদিন এদুটি উঠে যাবে সেদিনই হবে শেষ সমঐ দিনকে ভয় কর, যে দিন তোমরা আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে অতঃপর প্রত্যেকেই তার কর্মের ফল পুরোপুরি পাবে এবং তাদের প্রতি কোন রূপ অবিচার করা হবে না(সুরা:বাক্বারা:২৮১)
আল্লাহ-পাক সবাইকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুকআমীনয়

002.   পেট থেকে গ্যাস দূর করার সহজ কয়েকটি উপায় জেনে নিনশেয়ার করে রেখে দিন আজীবন কাজে লাগবে

যারা ভোগেন কেবল তারাই বোঝেন এটি কত যন্ত্রণার একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, পার্টিতে মসলাযু্ক্ত খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর গ্যাসের সমস্যাফাস্ট ফুড, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে গ্যাস, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে যেকোনো বাসায় গেলেই গ্যাস্ট্রিকের পাতা ওষুধ অবশ্যই পাওয়া যায়
তবে কী গাদা গাদা গ্যাসের ওষুধে সমস্যা দূর হয়! কিন্তু ঘরোয় কিছু উপায় আছে যেগুলি প্রয়োগ করলে গ্যাস, বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়
. শসা : শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়
. দই : দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়
. পেঁপে : পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে
. কলা কমলা : কলা কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার
. আদা : আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে
. ঠাণ্ডা দুধ : পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে
. দারুচিনি : হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে থেকে বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে
. জিরা : জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে। দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে
. লবঙ্গ : /৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়
১০. এলাচ : লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে
১১. পুদিনা পাতার পানি : এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই
১২. মৌরির পানি : মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি খেলে গ্যাস থাকে না
ছাড়াও খাবারে সরষে যোগ করুন : সরষে গ্যাস সারাতে করতে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করা হয় যাতে সেইসব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে

003.    করলার রস মধু একসঙ্গে খেলে কী হয়? অবাক করা তথ্য জেনে নিন

আপনি কি জানেন, করলার রস মধু একসঙ্গে খেলে প্রায় সাত ধরনের সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়? কেবল তিন টেবিল চামচ করলার রস দুই টেবিল চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে এই উপকার পাবেন করলার রস মধু একসঙ্গে খাওয়ার গুণগুলো জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই
. ডায়াবেটিস কমায়
করলার রস মধুর মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী এনজাইম। এই মিশ্রণটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এতে ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো কমে
. শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে
করলার রস মধুর মিশ্রণ রক্তের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে কাজ করে। এই ভেষজ জুস শরীরকে পরিশোষিত করে।
. ধূমপায়ীদের ফুসফুস পরিষ্কারে সাহায্য
করলার রস মধুর মিশ্রণ ফুসফুসে নিকোটিনের প্রলেপকে দূর করতে কাজ করে। ফুসফুস পরিষ্কারে বেশ কার্যকর এটি
. অ্যাজমা কমায়
এই ভেষজ মিশ্রণটি শ্বাসতন্ত্রের যত্ন নেয়। অ্যালার্জির সংক্রমণ থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়; অ্যাজমা কমাতে সাহায্য করে
. হজম ভালো করে
মিশ্রণটি পাচক রস তৈরিতে সাহায্য করে। এতে হজম ভালো হয়
. ওজন কমায়
ওজন কমাতে চাইলে করলার রস মধুর জুস খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। এটি ওজন কমাতেও কাজে দেয়

. কোষের দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ
এই মিশ্রণটির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। এতে ত্বক থাকে টানটান


004.    বেগুন ভেজানো পানি খান, লাফিয়ে কমবে ভুঁড়ি! জেনে নিন, কীভাবে বানাবেন বেগুনের পানি

অতিরিক্ত ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায়? খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন, জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন তবু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না? সব তো করেছেন, কিন্তু বেগুন ট্রাই করেছেন কি?
চমকে উঠলেন বুঝি? ভাবছেন রোগা হওয়ার সঙ্গে বেগুনের কী সম্পর্ক? সম্পর্ক আছে বৈকি। কলকাতার গণমাধ্যম এই সময়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়মিত বেগুন ভেজানো পানি খান, আর দেখুন ম্যাজিকের মতো কীভাবে আপনার ওজন কমে। বেগুনের পানিকেমিরাক্যল ওয়াটার বলা হয়ে থাকে। শুধু ওজন কমানো নয়, এই পানি আপনার এনার্জি লেভেলকেও বুস্ট আপ করবে
বেগুনে আছে অনেক পুষ্টিগুণ। পাশাপাশি এর ক্যালোরি কাউন্ট বেশ কম। তাই বেগুন আপনাকে মোটা না করেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে তুলবে। বেগুনে ফাইবার বেশি থাকায় ডায়াবিটিকদের জন্যও বেগুন বেশ ভালো। কনস্টিপেশনের সমস্যা থাকলেও নিয়মিত বেগুনের পানি আপনার জন্য অত্যন্ত উপকারী
জেনে নিন, কীভাবে বানাবেন বেগুনের পানি :
একটা মাঝারি মাপের বেগুন ভালো করে ধুয়ে চাকা চাকা করে কেটে নিন (খোসাসুদ্ধ) একটা কাঁচের জারে বেগুনের টুকরোগুলো পরপর সাজিয়ে রাখুন। এক লিটার পানির মধ্যে ঢেলে দিন। একটা মাঝাপি মাপের পাতিলেবু নিংড়ে পুরোটা রস এর মধ্যে মিশিয়ে দিন। চামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিন
পরের দিন ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনারের আগে এক কাপ করে এই পানি খান। সারা দিনে এক কাপ করে এই পানি খাবেন। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে ফল পাবেন। বেশি উপকার পাওয়ার ক্ষেত্রে সবুজে ভরসা না রেখে বেগুনি বেগুনেই বেশি ভরসা রাখুন। বেগুনি রঞ্জকটিই ওজন কমাতে বিশেষ উপকারী

005.     পেয়ারা পাতায় হবে সব শারীরিক সমস্যার সমাধান! শিখে নিন একদম সহজ পদ্ধ্বতি

সুস্থ থাকাটা সব মানুষেরই প্রধান লক্ষ্য কে না চায় সুস্থ থাকতে, ভালো থাকতে আর আপনার দেহের শারীরিক যত্ন যদি হয় পেয়ারা পাতা দিয়ে তবে খারাপই বা কি, তাইনা? হাতের কাছে থাকা এই সাধারণ জিনিসটি আপনাকে রাখতে পারে সুস্থ, মেলাতে পারে অনেকগুলো সমস্যার সমাধান
চুলের যত্ন থেকে শুরু করে কাশির সমস্যা সবকিছুর সমাধান মিলবে এই পেয়ারা পাতা থেকেই। তবে চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাক, পেয়ারা পাতার উপকারী দিকগুলো
চুলের যত্নে পেয়ারা পাতাপেয়ারা থেকে পেয়ারার পাতাই কিন্তু আপনার চুলের জন্য বেশি উপকারী। চুল পড়া টেনশনে যাদের রাতের ঘুম হারাম তাদের জন্য আছে এক কার্যকরি উপায়

এক লিটার পানিতে একমুঠো পেয়ারা পাতা দিয়ে ভালো করে গরম করে ফুটিয়ে নিন। এবার দ্রবণটিকে কক্ষ তাপমাত্রায় ঠান্ডা করুন। তেলের মত মাথার ত্বক থেকে শুরু করে আগা পর্যন্ত দ্রবনটি লাগান। প্রতিদিন ব্যবহারে আপনার চুলপড়ার হার অনেকাংশে কমে যাবে
পেয়ারা পাতার রস আপনার চুলের গোড়া করবে পোক্ত আর চুল করবে আরো সতেজ
পেটব্যাথা, আমশয় এবং ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পেতে পেয়ারা পাতাপেয়ারা পাতাতে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। সেদ্ধ পেয়ারা পাতার দ্রবন সেবনে আপনি পেতে পারে ডায়রিয়া বা পেট ব্যাথার মত সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি
মুখ অভ্যন্তরের চিকিৎসায় পেয়ারা পাতাবলা হয়ে থাকে, পেয়ারা পাতা চিবুলে মুখের ভেতরের সার্বিক সচলতা বৃদ্ধি পায়। কালশেটে মাড়ি, দাঁতের ব্যাথা ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে পেয়ারা পাতার জুড়ি নেই
অনেকের মুখ থেকে বেশ বাজে গন্ধ হয়। তারা সময় পেলে পেয়ারা পাতা চিবুতে পারেন। উপকার পাবেন
রক্তের শর্করা কমাতে পেয়ারা পাতাডায়বেটিস রোগীদের জন্য পেয়ারা পাতা যেন আশির্বাদ স্বরূপ। কেননা, পেয়ারা পাতা দিয়ে বানানো চা নিয়মিত পান করলে, এই চা দেহের ইনসুলিন এর মাত্রা বৃদ্ধি ব্যাতিত শরীরের রক্তের শর্করার পরিমাণ কমাতে পারে
শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে পেয়ারা পাতাপেয়ারা পাতা শ্বসনতন্ত্রের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটা ব্রংকাইটিস এবং কাশির জন্য একটি চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহার করা হয়
দেখলেন তো আশেপাশে থাকা সাধারণ পেয়ারা পাতা আসলে কত উপকারী! আপনি যদি সতেজ এবং সুস্থ থাকতে চান তবে আজকে থেকেই শারীরিক যত্নে পেয়ারা পাতার ব্যবহার শুরু করুন

006.    পাইলস সমস্যা: সমাধানে জেনে নিন ১০ ঘরোয়া উপায়!

র্শ বা পাইলসের সমস্যা ঘরে ঘরে দেখা যায় কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা, দীর্ঘ মেয়াদী কাশির সমস্যা, প্রস্রাবে বাধা, গর্ভধারণ, মলদ্বারে ক্যানসার, নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা এসব থেকে পাইলসের সমস্যা হতে পারে
অর্শ বা পাইলসের সমস্যা ঘরে ঘরে দেখা যায় কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা, দীর্ঘ মেয়াদী কাশির সমস্যা, প্রস্রাবে বাধা, গর্ভধারণ, মলদ্বারে ক্যানসার, নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা এসব থেকে পাইলসের সমস্যা হতে পারে
পাইলসের সমস্যা বলতে মলদ্বারে যন্ত্রণা, রক্ত পড়া, মলদ্বার ফুলে যাওয়া মূলত এই ধরণের উপসর্গ দেখা যায়পাইলসের চিকিৎসার জন্য নানা ধরণের চিকিৎসা রয়েছে সমস্যা কতটা গভীর তার উপরও চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে কখনও শুধু ওষুধেই কাজ দেয়, কখনও আবার সমস্যা এতটাই বেড়ে যায় যে অস্ত্রোপচার ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না তবে পাইলসের সমস্যায় কিছু নির্দিষ্ট খাবার টোটকা আছে, যা অত্যন্ত উপকারী-
্যাডিশ জুস:
র্যাডিশ হল মূলা ঘরানার একটি সবজি। এই সবজি পাইলসের সমস্যায় অত্যন্ত উপকারি। এই সবজির রস খেলে উপকার পাবেন। প্রথমে / কাপ দিয়ে শুরু করুন। তারপর পরিমাণ আস্তে আস্তে বাড়িয়ে / কাপে নিয়ে আসুন
বেদানা:
বেদানার দানা জলে ভাল করে ফোটান। যতক্ষণ না বেদানার দানা জলের রং বদলাচ্ছে ততক্ষণ ক্রমাগত ফুটিয়ে যান। এই জল ছেঁকে রেখে দিন। দিনের দুবার করে এই জল খান
ডুমুর:
শুকনো ডুমুর বা ফিগ গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে এই অর্ধেক জল খেয়ে নিন। আবার বিকেলের দিকে বাকি অর্ধেক জল খেয়ে নিন
আদা লেবুর রস:
ডিহাইড্রেশনও পাইলসের অন্যতম কারণ। আদা লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে তাতে চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। দিনে দুবার করে এই মিশ্রণটি খান। এতে শরীর হাইড্রেট হবে এবং পাইলসের সমস্যাও কমবে
কাঁচা পেঁয়াজ:
পাইলসের কারণ যে মলদ্বার থেকে রক্ত পরার সমস্যা তৈরি হয়, কাঁচা পেঁয়াজে সে সমস্যা অনেকটাই কমে। অন্ত্রের যন্ত্রণা প্রশমিত করতেও সাহায্য করে
প্রাতঃকর্মের সময় বসার ধরণ:
অনেকসময় ভুল পদ্ধতিতে কমোডে বসার ফলে অতিরিক্ত চাপের প্রয়োজন হয়। পায়ের নিচে একটা ছোট টুল রাখুন। কমোডে বসার সময় একটু সামনের দিকে ঝুঁকে বসুন। এতে বৃহদন্ত্রের কম চাপ পড়বে
ওয়ার্কআউট:
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমাতে শরীরে রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত ওয়ার্ক আউট করা উচিত। তবে যদি খুব পরিশ্রম করেন বা ভার উত্তোলন করেন তাহলে পাইলসের সমস্যা বাড়তে পারে। সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানোর মতো হাল্কা ওয়ার্কআউট করুন
হলুদ:
কাঁচা হলুদ জলে ফোটান ভাল করে। আর এই জল নিয়মিত খান। এতে পাইলসের সমস্যায় অনেকটা উপকার পাওয়া যায়
কলা:
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সবচেয়ে উপকারি এবং অব্যর্থ ওষুধ হল কলা। বিনা কষ্টে মলত্যাগ করতে সাহায্য করে কলা। এর ফলে মলদ্বারে কোনও চাপ পড়ে না, ফলে পাইলসের সমস্যা বৃদ্ধি হয় না। কলা সোয়াবিনের দুধ দিয়ে খেলে আরও তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যাবে
ডাল:
মসুর ডাল, খেসারী ডাল, তিসী ডাল, এই ধরনের খাবার পাইলসের সমস্যা নিরাময়ে খুবই উপকারি

007.      চিরতরে বাড়ি থেকে দূর করুন, ইদুর,তেলাপোকা,মাছি,ছারপোকা,টিকটিকি মশা!!

না কারণে ঘর বাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব হয় আর একবার কোন পোকা ঘরে বসবাস শুরু করলে তা আর সহজে যেতে চায় না বিশেষ করে মশা, তেলাপোকা, ছারপোকা ইত্যাদি
আর বেশীরভাগ বাড়িতেই তো একেবারে ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে প্রচুর পরিমাণে ইঁদুর এবং টিকটিকি। কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে খুব সহজে এবং ঘরোয়া উপায়ে এদের দূর করা সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এসব উপদ্রব থেকে রক্ষার কিছু উপায়
ইঁদুর
ঘর বাড়ির খুব সাধারণ একটি সমস্যা হল ইঁদুর। এই ইঁদুর দূর করবে পেপারমেণ্ট। ইঁদুর পেপারমেণ্টের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। একটি তুলোর বলে পেপারমেন্ট অয়েল ডুবিয়ে নিন। এবার তুলোর বলটি ইদুরের বাসার কাছে রেখে দিন। পেপারমেণ্টের গন্ধ শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করে তাদের নিঃশ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দিবে এবং তারা মারা যাবে
২। তেলাপোকা
তেলাপোকা নেই এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া ভার! রান্নার মশলা দিয়ে দূর করুন এই তেলাপোকা। কিভাবে? গোলমরিচ গুঁড়া, পেঁয়াজ, রসূন এবং পানি দিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। পেষ্ট কিছুটা তরল করে তৈরি করবেন। এবার এটি স্প্রের বোতলে ভরে রাখুন। যেখানে তেলাপোকা দেখবেন সেখানে স্প্রে করুন। দেখবেন তেলাপোকা পালিয়ে গেছে। শুধু তেলাপোকা না অন্যান্য পোকা মাকড়ের হাত থেকে আপনার ঘরকে রক্ষা করবে

 

৩। মাছি
মাছি তাড়ানোর অনেক উপায় আছে। কিন্তু সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হল তুলসী পাতা। বারান্দায় বা জানলার কাছে একটি তুলসী গাছ রাখুন। দেখবেন মাছি আপনার বাসায় আসছে না। এছাড়া বিভিন্ন এ্যাসেন্সিয়াল অয়েল যেমন ল্যাভেন্ডার এবং ইউক্যালিপ্টাস অয়েল মাছি তাড়াতে অনেক বেশি কার্যকর
৪। ছারপোকা
ছারপোকা দূর করতে পেঁয়াজের রস অনেক বেশি কার্যকরী। একটি স্প্রে বোতলে পেঁয়াজের রস ভরে নিন। তারপর এটি স্প্রে করে দিন বিছানা, সোফার চারপাশে যেখানে ছারপোকা রয়েছে
৫। টিকটিকি
ঘরের আরেকটি উপদ্রব হল টিকটিকি। এই টিকটিকি হাত থেকে বাঁচার জন্য ঘরে কোণে বিশেষ করে ভেন্টিলেটরের কাছে ডিমের খালি খোসা ঝুলিয়ে রাখুন। ডিমের গন্ধ টিকটিকিকে দূরে রাখবে। তবে সেদ্ধ নয়, অবশ্যই কাঁচা ডিমের খোসা ঝোলাবেন। এছাড়াও ঘরে ময়ূরের পালক রাখতে পারেন। টিকটিকি ঘরের ত্রিসীমানায় ঘেঁষবে না
৬। মশা
মশা তাড়ানোর জন্য কত রকমের স্প্রে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু মশা তাড়ানোর সবচেয়ে সহজ আর কার্যকরী উপায় হল নিমের তেলের ব্যবহার। প্রতিদিন শরীরে নিমের তেল ব্যবহার করুন। এটি আপনাকে মশা থেকে দূরে রাখবে এবং তার সাথে সাথে ত্বকও সুস্থ এবং ভালো রাখবে

008.   পাইলসে ভুগছেন!!তবে সারিয়ে তুলুন এক নিমিষেই?? টিপসটি জেনে নিন

পাইলস বা হেমোরয়েড খুব পরিচিত একটি রোগ প্রায় ঘরে এই রোগ হতে দেখা দেয় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫% মানুষ এই রোগে ভুগে থাকেনবিশেষত ৪৫ থেকে ৬৫ বয়সী মানুষেরা এই রোগে বেশি ভুগে থাকেন বর্তমান সময়ে সব বয়সী মানুষের এই রোগ হতে দেখা দেয় মলদ্বারে যন্ত্রণা, রক্ত পড়া, মলদ্বার ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি পাইলসের সাধারণ সমস্যা

পারিবারিক ইতিহাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, কম ফাইবারযুক্ত খাবার, স্থূলতা, শারীরিক কার্যকলাপ, গর্ভাবস্থায়, এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকা ইত্যাদি কারণে পাইলস দেখা দেয়
সাধারণত ওষুধ, অপারেশন পাইলসের চিকিৎসা হয়ে থাকে। এর সাথে কিছু ঘরোয়া উপায় এই সমস্যা সমাধান করা যায়
১। বরফ ঘরোয়া উপায়ে পাইলস নিরাময় করার অন্যতম উপায় হল বরফ। এটি রক্তনালী রক্ত চলাচল সচল রাখে এবং ব্যথা দূর করে দেয়। একটি কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ পেঁচিয়ে ব্যথার স্থানে ১০ মিনিট রাখুন। এটি দিনে কয়েকবার করুন
২। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার একটি তুলোর বলে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার লাগিয়ে ব্যথার স্থানে লাগান। শুরুতে এটি জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করবে, কিছুক্ষণ পর এই জ্বালাপোড়া কমে যাবে
এটি দিনে কয়েকবার করুন। অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডের জন্য এক চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে নিন। এটি দিনে দুইবার পান করুন। এরসাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন
৩। অ্যালোভেরা বাহ্যিক হেমোরয়েডের জন্য অ্যালোভেরা জেল আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করে লাগান। এটি জ্বালাপোড়া দূর করে ব্যথা কমিয়ে দেবে
আভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা পাতার কাঁটার অংশ কেটে জেল অংশটুকু একটি প্ল্যাস্টিকের প্যাকেটে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। এবার এই ঠান্ডা অ্যালোভেরা জেলের টুকরো ক্ষত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এটি জ্বালাপোড়া, ব্যথা, চুলকানি দূর করে দেবে
৪। অলিভ অয়েল প্রতিদিন এক চা চামচ অলিভ অয়েল খান। এটি দেহের প্রদাহ হ্রাস করে এবং মোনোস্যাচুরেটেড চর্বি উন্নত করে থাকে। এছাড়া কিছু বরই পাতা গুঁড়ো করে অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে নিন। এটি আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করে লাগান। এটি ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে
৫। আদা এবং লেবুর রস ডিহাইড্রেশন হেমোরয়েডের অন্যতম আরেকটি কারণ। আদাকুচি, লেবু এবং মধু মিশ্রিত জুস দিনে দুইবার পান করুন। এটি নিয়মিত পান করুন। এটি শরীর হাইড্রেটেড করে পাইলস দূর করে দেয়। এছাড়া দিনে থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন
তবে পাইলসের সবচেয়ে ভালো ট্রিটমেন্ট রয়েছে হোমিওতে। তাই এই রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করতে রেজিস্টার্ড একজন হোমিও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন

009.     জিরা খেয়ে মাত্র ১৫ দিনে ঝরিয়ে ফেলুন শরীরের সমস্ত মেদচর্বিকিভাবে বানিয়ে খাবেন

রান্নায় জিরার ব্যবহার নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই শুধুই যে রান্নায় সুগন্ধের জন্য জিরা ব্যবহার হয়, তা কিন্তু নয় স্বাস্থ্যের কথা ভেবেও আমরা রান্নায় জিরা দিই স্পাইসি এই মশালা যে আপনার শরীর থেকে বাড়তি মেদ ঝরাবে, সে খোঁজ কি রাখেন? হাতের কাছে ক্যালেন্ডার নিয়ে শুধু কয়েকদিন গোল্লা পাকান আর দেখুন কী হয়
ধৈর্য ধরে ১৫টি দিন দেখুন। এর মধ্যে রোজ নিয়ম করে এক চামচ গোটা জিরা খেয়ে ফেলুন। একদিনও বাদ দেবেন না। তার আগে আর একটি কাজ আপনাকে করতে হবে। নিজের ওজন নিয়ে, লিখে রাখুন। ১৫দিন পর ফের ওজন নিন। নিজেই অবাক হয়ে যাবেন। কলা দিয়ে জিরা খেলেও ওজন ঝরবে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গোটা জিরা খুব দ্রুত শরীর থেকে ওজন ঝরাতে সক্ষম।
শুধু যে চর্বি বের করে দেয়, তা কিন্তু নয়। একই সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে, যারা ওজন কমানোর জন্য জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাচ্ছেন, একবার ১৫ দিনের জন্য জিরার ওপর ভরসা রাখতে পারেন। নিরাশ হবেন না। গবেষকরা বলছেন, জিরার মধ্যে রয়েছে থাইমল অন্যান্য কিছু তেলের উপস্থিতি। যার কাজ হলো লালা নিঃসরণকারী গ্রন্থিকে উত্তেজিত করা। যার ফলে খাবার ভালো হজম হয়।
ছাড়াও জিরার গুণে পরিপাকতন্ত্র ভালো কাজ করে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, হজমের গণ্ডগোল হলে, জিরা দিয়ে চা খেয়ে দেখতে পারেন। উপকার পাবেন। এক গেলাস পানিতে এক চামচ জিরা দিন। ভালো করে ফুটিয়ে নিন। পানির রং লালচে হয়ে এলে, গ্যাস বন্ধ করে, পাত্রটি চাপা দিয়ে রাখুন। একদম ঠাণ্ডা হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। এই জিরা চা দিনে তিন বার খেলে, হজমশক্তি বাড়বে। পেটে ব্যথা কমবে। কী ভাবে জিরা খাবেন?
এক. একটা গেলাসে বড় চামচের দু-চামচ গোটা জিরা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি গরম করে, জিরা না ছেঁকে চায়ের মতো খান। মুখে গোট জিরা পড়লে, ফেলবেন না। চায়ের মতো কয়েক দিন পান করুন, দেখবেন ওজন কমছে।
দুই. যদি দেখেন, উপরের দাওয়াই আপনার ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করছে না, তা হলে দ্বিতীয় উপায়ের আশ্রয় নিন। খাবারে জিরার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। দইয়ের সঙ্গেও জিরা খেতে পারেন। গ্রাম দুইতে এক চামচ জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত খান। ওজন নিশ্চিত ভাবেই কমবে।
তিন. কয়েক চামচ মধু তিন গ্রাম জিরা গুঁড়ো এক গেলাস পানিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। নিয়মিত এই মিশ্রণটি খান। স্যুপ তৈরি করে, এক চামচ জিরাগুঁড়ো মিশিয়ে খেলেও ভালো কাজ দেবে।
চার. পাতিলেবু রসুন ওজন ঝরাতে খুব ভালো দাওয়াই। গাজর অন্যান্য সবজি সেদ্ধ করে নিয়ে, রসুন কুচি লেবুর রস ঢেলে দিন। তাতে কিছুটা জিরার গুঁড়ো মেশান। রোজ রাতে খেয়ে, ম্যাজিক পরিবর্তন দেখুন। ১৫ দিনে পরেই বুঝতে পারবেন আপনার ওজন কমেছে

010.     শরীরে কত বিষ জমেছে তা আপনার কল্পনারও অতীত এই পদ্ধতিতে শরীরকে করুন বিষমুক্ত

শরীরের নিয়মিত ডিটক্সিফিকেশন (শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থের নির্গমন) সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি কিন্তু কী ভাবে সম্ভব এই ডিটক্সিফিকেশন? স্বাস্থ্য পত্রিকাডে বাই ডে থ্রি সিক্সটি ফাইভজানাচ্ছে অত্যন্ত সহজ ঘরোয়া এক পদ্ধতি, যার সাহায্যে মাত্র তিরিশ মিনিটে শরীরকে বিষমুক্ত করে তোলা সম্ভব
আমাদের শরীরে প্রতিদিন প্রবেশ করছে অজস্র বিষাক্ত পদার্থ। কখনও খাদ্যের মাধ্যমে, কখনও বা নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এই সমস্ত বিষাক্ত উপাদান শরীরে প্রবেশ করছে, এবং শরীরের অভ্যন্তরেই বাসা বেঁধে থাকছে। ডাক্তারি পরিভাষায় এই সমস্ত উপাদানকেই বলা হয়টক্সিক শরীরে এই সমস্ত উপাদান জমে থাকা বার বার অসুস্থতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। সঙ্গত কারণেই স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীরের নিয়মিত ডিটক্সিফিকেশন (শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থের নির্গমন) সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু কী ভাবে সম্ভব এই ডিটক্সিফিকেশন? স্বাস্থ্য পত্রিকাডে বাই ডে থ্রি সিক্সটি ফাইভজানাচ্ছে অত্যন্ত সহজ ঘরোয়া এক পদ্ধতি, যার সাহায্যে মাত্র তিরিশ মিনিটে শরীরকে বিষমুক্ত করে তোলা সম্ভব
প্রথমে জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন উপাদান লাগবে এই ডিটক্সিফিকেশন কৌশলকে কার্যকর করার জন্য। লাগবে চারটি জিনিস
. কাপ এপসম লবণ। যে কোনও অনলাইন শপিং সাইটে এই নুন পেয়ে যাবেন। দামও বেশি নয় মোটেই।
. কাপ সাধারণ নুন।
. কাপ বেকিং সোডা।
. সামান্য অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার। যদি অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার না পান, তা হলে সাধারণ ভিনিগারেও কাজ চলবে।
বার জেনে নিন, কী করতে হবে। প্রথমে একটি ছোট জার নিয়ে তাতে ফুটন্ত জল ভরুন। তাতে মিশিয়ে দিন এপসম সল্ট, সাধারণ নুন এবং বেকিং সোডা। মিশ্রণটি তৈরি করে জারটিকে আলাদা করে সরিয়ে রাখুন। বার একটি বালতি বা গামলায় ইষদুষ্ণ গরম জল নিন। তাতে মেশান ভিনিগার। তার পর জারে রাখা মিশ্রণটিও ওই জলে মিশিয়ে নিন। বার নিজের দুপায়ের পাতা এবং গোড়ালি ডুবিয়ে রাখুন ওই জলে। আধ ঘন্টাখানেক এই ভাবে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন। একটু পর থেকেই দেখবেন জলের রং বদলাতে শুরু করেছে। আধ ঘন্টাখানেক পরে জলের রং থিকথিকে হলুদ হয়ে যাবে। বুঝবেন, আপনার শরীর থেকে নির্গত বিষাক্ত পদার্থই জলে মিশে গিয়ে জলের রং হলুদ করে দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট পত্রিকায় দাবি করা হচ্ছে, এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং প্রাকৃতিক। সপ্তাহে এক দিন করে এই কৌশল কাজে লাগালেই শরীরকে সম্পূর্ণ বিষমুক্ত এবং সুস্থ রাখা সম্ভব বলে জানানো হয়েছে। তা হলে আর দেরি কীসের? শরীরকে বিষমুক্ত এবং সুস্থ রাখার প্রক্রিয়া শুরু করে দিন আজকেই

011.    হাঁপানি রোগীদের মহৌষধ আকন্দ পাতা! এর ব্যবহার পদ্ধতিটি মেনেই ব্যবহার করতে হবে

গাছালির পাতাকে আমরা অনেকেই অবহেলা করি কিন্তু এইসব গাছ-গাছালি আমাদের অনেক রকম উপকার করে থাকে এমনই একটি রোগ হাঁপানি রোগ যে রোগে ওষুধের থেকে আকন্দ পাতা বেশি কার্যকরি গ্রাম-বাংলার মানুষ হাঁপানি শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আকন্দ পাতা ব্যবহার করে আয়ুর্বেদার্য শিবকালি ভট্ট্রাচার্যের মতে, ১৪টি আকন্দ ফুলের মাঝখানে চৌকো অংশটি নিতে হবে
তারসঙ্গে ২১টি গুল মরিচ দিয়ে একসঙ্গে বেটে ২১টি বড়ি বানাতে হবে। প্রতিদিন সকালে পানি দিয়ে ১টি বড়ি খেলে হাঁপানি রোগের উপশম হয়। এই ওষুধ খাওয়ার সময় পথ্য হিসেবে শুধু দুধ ভাত খেতে হয়। এতে শ্বাসকষ্ট কেটে যায়। আকন্দ গাছের মূলের ছাল শুখিয়ে চূর্ণ করে আকন্দের আঠা দিয়ে মুড়িয়ে বিড়ির মতো করে বানিয়ে সেটি ধরিয়ে ধোয়া টানলে হাঁপানি লাঘব হয়। হাঁপানি ছাড়াও আকন্দ পাতার অন্যান্য গুণাবলি
১। হাঁপানি ছাড়াও আকন্দ পাতা ওষুধ হিসেবে ব্রণ ফাটাতে সাহায্য করে। আকন্দ পাতা দিয়ে ব্রণ চেপে বেঁধে রাখলে ব্রণ ফেটে যায়
২। বিছে কামড়ালে জ্বালা-পোড়া কমাতে আকন্দ পাতা ব্যবহার করা হযে থাকে
৩। শরীরের কোনো স্থানে দুষিত ক্ষত হলে সেই স্থানটিতে আকন্দ পাতা সেদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে হয়। এতে পুঁজ হয় না
৪। বুকে সর্দি বসে গেলে ভালো করে পুরনো ঘি বুকে ডলতে হয়। ঘি মাখানো বুকে আকন্দের পাতা গরম করে ছেক দিলে সর্দি ভালো হয়
৫। খোস-পাচড়া বা একজিমার ক্ষেত্রে আকন্দের আঠার সঙ্গে চার গুণ সরিষার তেল মিশিয়ে গরম করতে হয়। এই গরম তেলের সঙ্গে কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খোস পাচড়ায় মাখলে তা ভালো হয়ে যায়
৬। পা মোচকে গেলে প্রচণ্ড ব্যথায় এই আকন্দ পাতা দিয়ে গরম ছেক দিলে ব্যথা উপশম হয়


012.    পায়ের রগে বা পেশিতে হঠাৎ টান ধরলে কি করবেন , পঙ্গু হতে না চাইলে জেনে নিন কি করবেন

ঘুমিয়ে আছেন হঠাৎ পায়ের মাংসপেশির টানের ব্যথায় কঁকিয়ে উঠলেন আপনি এমতাবস্থায় পা সোজা বা ভাঁজ করা সম্ভব না
একটানা পা ভাঁজ করে রেখে হঠাৎ সোজা করতে গেলে পায়ের পেশিতে টান পড়ে তখনই পায়ের পেশীতে বা রগে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়
এমনটা ঘুমের মধ্যে বা জেগে থাকা অবস্থাতেও হতে পারে। তবে ঘুমন্ত অবস্থায় বেশি হয়ে থাকে। দীর্ঘসময় ধরে অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে অনেক সময় পায়ের পেশিতে বেশি টান লাগতে পারে। আবার দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলেও এমনটা হয়ে থাকে
আরো নানান কারনে হতে পারে। যেমন, পানিশূন্যতা, মাংসপেশী বা স্নায়ুতে আঘাত, রক্তে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়ামের অভাব, কিছু ঔষধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া যেমন, হাইপারটেনশন কোলেস্টেরল, কয়েকটি বিশেষ ভিটামিনের অভাবে যেমন, ভিটামিনবি’ B1, B5, B6 কিছু বদভ্যাসের কারনে যেমন, ধূমপান, মদপান। ধূমপায়ীদের পায়ে রক্ত চলাচল কম হয় বলে সামান্য হাঁটাহাঁটিতেই তাদের পায়ে টান লাগে। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন স্নায়ুতে চাপ পড়ে থাকে, তাই ওই সময় পায়ের পেশীতে টান লাগা স্বাভাবিক ব্যাপার। আবার হাইপোথাইরয়েডিজম, কিডনি ফেইলিওর, মেন্সট্রুয়েসন, গর্ভসঞ্চার ইত্যাদির কারনেও পেশীতে টান লাগতে পারে
পেশীতে টান পড়লে যে পায়ের পেশীতে টান পড়লো দ্রুত সেই পায়ের পেশীকে শিথিলায়ন বা রিলাক্স করতে হবে। এতে পেশী প্রসারিত হবে এবং আরাম পাবেন। পেশীকে প্রসারিত করার নিয়ম হল, আপনার যদি হাঁটুর নিচে পায়ের পিছনের মাসলে টান লাগে তাহলে পা সোজা করে হাত দিয়ে পায়ের আঙুলের মাথাগুলো ধরে আপনার দিকে আস্তে আস্তে টানুন। আর যদি সামনের দিকে হয় তাহলে পা ভাঁজ করে পায়ের আঙুলের মাথাগুলো পেছনের দিকে টানুন
অনেক সময় উরুর পেছনেও এমনটা হয়, তখন চিৎ হয়ে শুয়ে পা ভাঁজ করে হাটুঁ বুকের দিকে নিয়ে আসুন যতোটুকু পারা যায়। আর উরুর পেছনের পেশীতে আলতো হাতে আস্তে আস্তে মালিশ করুন আরাম পাবেন। আর যদি পেশী শক্ত হয়ে আসে তখন ওয়াটার ব্যাগ বা হট ব্যাগের মাধ্যমে কিছুক্ষণ গরম সেঁকা দিন আক্রান্ত পেশীতে। আবার যদি পেশী বেশি নরম ফুলে যায় আর ব্যথা থাকে তাহলে তাতে আইসব্যাগ দিয়ে ঠাণ্ডা সেঁক দিন। বেশ আরাম পাবেন। প্রত্যেকের বাসায় মুভ বা ভিক্স জাতীয় ব্যথানাশক বাম বা জেল থাকে, তা দিয়ে আলতো হাতে মালিশ করা যেতে পারে ওই পেশীতে

আরপেশীর টানমুক্তঅবস্থায় ভালো থাকতে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার খান। শাকসবজি, ফল, খেজুর, দুধ মাংসতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম রয়েছে। তাই এই খাবারগুলো বেশি বেশি খান। নেশা জাতীয় বদ অভ্যাস থাকলে তা থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন সুস্থ থাকুন

Govt Job Death Facilities 2024 । চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বেসামরিক প্রশাসনে চাকরিরত অবস্থায় কোন সরকারি কর্মচারী মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারের সদস্যদেরকে ৮ , ০০...